দুর্গোৎসবে মণ্ডপগুলোতে সবোর্চ্চ নিরাপত্তা থাকবে
স্টাফ রিপোর্টার: শারদীয় দুর্গোৎসবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক বিষয়ে মহানগরীর বিভিন্ন পূজা কমিটির নেতাদের সঙ্গে আরএমপির মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
আরএমপি পুলিশ লাইন্সের পিওএম কনফারেন্স রুমে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার। সভায় জানানো হয়, এবার রাজশাহী মহানগর এলাকায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা ৯৫টি। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এই সভায় রাজশাহী মহানগরী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে ও প্রতিমা প্রস্তুতকরণ এবং প্রতিমা প্রস্তুতকালীন ও পূজা চলাকালীন নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় পূজা উদযাপন নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তার বক্তব্যে বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আরএমপির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইতোমধ্যে মহানগর এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপগুলোতে অবশ্যই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য নেতাদেরকে আহ্বান জানান।
পূজামণ্ডপগুলোতে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমণ লাইন রাখার এবং পূজা মণ্ডপে পুরুষ ও নারী আলাদা আলাদা স্বেচ্ছাসেবক রাখার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি সব থানার ওসিকে পূজা কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশনা দেন। দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পূজামণ্ডপ দর্শন করতে পারে সে জন্য ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার জন্যও নির্দেশনাও দেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) ফারুক হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) সাইফ উদ্দীন শাহীন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অর্নিবান চাকমা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, পূজা উদযাপন পরিষদের মহানগর কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাধন কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক পার্থ পাল চৌধুরী।
এছাড়া আরএমপির ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, ডিজিএফআই, র্যাব-৫, এনএসআই, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে, সিটি কর্পোরেশন, নেসকো লিমিটেড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরাসহ সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।