ঢাকা | ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ - ৯:৫৮ অপরাহ্ন

ডিআইজি যানজটে আটকা, ওসি প্রত্যাহার

  • আপডেট: Sunday, August 21, 2022 - 11:15 am

অনলাইন ডেস্ক: মুরাদনগর থানার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। আর ডিআইজির এ যানজটে আটকের জেরে ওসি আবুল হাসিমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জানা গেছে, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন শনিবার সকালে সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানত না কুমিল্লার মুরাদনগর থানা পুলিশ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট সড়কের মুরাদনগর থানার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েন ওই ডিআইজি।

এ সময় সেখানে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম কিংবা পুলিশের কোনো সদস্য উপস্থিত না থাকায় দুপুরেই তাকে মুরাদনগর থেকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে কুমিল্লা জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেলা পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক সড়কে কোম্পানীগঞ্জ এলাকা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিলেন। কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনাল এলাকায় তিনি ব্যাপক যানজটের কবলে পড়েন। প্রায় ৩০ মিনিট যানজটে আটকা থাকার পর বিষয়টি তিনি কুমিল্লা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। পরে খবর পেয়ে সাদা পোশাকে হন্তদন্ত হয়ে রাস্তায় ছুটে আসেন ওসি। কিন্তু ততক্ষণে ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের একটি আদেশের বরাত দিয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত স্মারক নং এডমিন ৬২৬৬ একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ওসি আবুল হাসিমকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত করা হল। নির্দেশিত কর্মস্থল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে প্রত্যাহারের ওই আদেশে ডিআইজির যানজটে আটকে থাকার কোনো বিষয় উল্লেখ করা হয়নি।

ওসি আবুল হাসিম বলেন, ডিআইজি স্যার ওই সড়কপথে সকাল বেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবেন এমন কোনো তথ্য আমার কাছে ছিল না। এছাড়া এই মহাসড়কের যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত ছিল, তারপরও আমি অবগত থাকলে অবশ্যই যানজট নিরসন করে রাখতাম। প্রত্যাহারের চিঠি হাতে পেয়েই ওসি মুরাদনগর ছেড়েছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

সোনালী/জেআর