রমজানের আগেই তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ জরুরি
রমজান মাসে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ভোজ্য তেলের চাহিদাও বাড়ে। সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে মুনাফা লোটার অপচেষ্টা চালায়। এবার বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে গেছে। তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে বাজারে সঙ্কটের পাশাপাশি জনজীবনেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে সয়াবিন তেল থাকা সত্ত্বেও দাম বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের কারসাজি. বলছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে অভিযান পরিচালনা ছাড়াও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে সচেষ্ট হয়েছে সরকার।
আগামী শুক্রবার থেকে ভোজ্য তেলের কেনাবেচায় পাকা রশিদ ছাড়া কোনো ব্যবসা করা যাবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ সয়াবিন তেল আমদানিতে সাময়িক সময়ের জন্য মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারে কাজ করছে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহেই ভোজ্য তেল আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসতে পারে। অবশ্য ভোজ্যতেল আমদানিতে প্রায় ৩০ শতাংশের মতো ভ্যাট ও ডিউটি ফি দিতে হয় বলে ব্যবসায়ী সূত্রে জানানো হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে এক লিটার ১৬৮ টাকা, দুই লিটার ২৩৫-৩৪৫ টাকা ও পাঁচ লিটার ৮৩০ টাকা বা কোথায়ও এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ভোজ্যতেলের সঙ্কটও আছে। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে বলে আশা করা যায়।
যে ভাবেই হোক রমজানের আগেই ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।