ঢাকা | মে ২১, ২০২৫ - ৮:৩৯ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে চার ছাত্রনেতাকে অবরুদ্ধ করার কারণ জানালেন শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট: Thursday, February 27, 2025 - 8:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের মালিকানাধীন রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এক কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ চার ছাত্রনেতাকে অবরুদ্ধ করার কারণ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

গত বুধবার দুপুরে মেডিকেল কলেজে সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানান, ঘটনার পেছনে অন্য কোনো বিষয় তাদের জানা নেই। শুধু শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার কারণেই ওই চারজনকে অবরুদ্ধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বারিন্দ মেডিকেল কলেজের ‘বারিন্দ ডক্টর সেবা’-এর সভাপতি চিকিৎসক আবদুস সাদিদ। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক আতিক শাহরিয়ার, সহসাধারণ সম্পাদক রবিন হকসহ বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাদিক বলেন, গত মঙ্গলবার কিছু ব্যক্তি আমাদের স্যারদের কাছে এসেছিল। তাদের সঙ্গে হয়তো একটু অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসে। কারা এসেছিল, এটা তারা দেখেননি। যেকোনো মানুষ এসে যদি আমাদের শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে, শিক্ষার্থীদের আচরণ এ রকমই হওয়া উচিত।

বারিন্দ মেডিকেল কলেজে এখন রাজনৈতিক ‘ট্যাগ’ লাগানোর চেষ্টা চলছে দাবি করে আবদুস সাদিদ বলেন, আমাদের এখানে কোনো ধরনের রাজনীতি হয় না। রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো জনবলও নিয়োগ হয় না। সব নিয়োগ হয় মেধার ভিত্তিতে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কেউ কোনো দিন আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক আলাপ করেননি।

সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক সাদিদ দাবি করেন, জুলাই আন্দোলনের সময় ডক্টর সেবা সংগঠনের ব্যানারে এই প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে আহতদের সেবা দেয়া হয়েছে। এটা এখনো চলমান। প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি নিয়ম মেনে মেধাবীদের বিনামূল্যে পড়ানো হয়। এই প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও অলাভজনক।

গত মঙ্গলবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জি কে এম মেশকাত চৌধুরী, সংগঠনের জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক সোহাগ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল বারী ও ছাত্রনেতা আল-সাকিব প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উদ্ধার করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, তারা প্রতিষ্ঠানটিতে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিলেন। তবে ছাত্রনেতাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে কিছু তথ্য নিতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ‘মব’ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন। বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মালিক আওয়ামী সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

আত্মগোপনের আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বাবা শামসুদ্দিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS