আত্রাইয়ে রাতে চলছে পুকুর খনন

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাইয়ে দিনে ভেকু বন্ধ, সারারাত চলে পুকুর খননের কাজ। পুকুর খননের কারণে এক দিকে যেমন কমছে ফসলি জমি অন্যদিকে মাটি পরিবহন করতে ব্যবহার করা হচ্ছে গ্রামীণ সড়কগুলো।
এতে সড়কগুলো নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জনসাধারণের চলাচলে হচ্ছে অসুবিধা। স্থানীয়দের তথ্য মতে, পাঁচুপুর, ভোঁপাড়া, বিশা, আহসানগঞ্জ, কালিকাপুর, হাট কালুপাড়া, মনিয়ারী ইউনিয়নের ১৫-১৮ স্থানে রাতদিন ধরে ভেকু দিয়ে পুকুর খনন কাজ চলছে। একেকটি পুকুর খনন হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ বিঘা জমি নিয়ে।
জামগ্রাম গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, “উপজেলায় প্রায় ১৪টি ইটভাটা রয়েছে। ভাটার মালিকেরা ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে মাটি বহন করছে এবং মাটি বহনের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। রাতে করে বিক্রি করছে খালের মাটি। এ বিষয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।”
এদিকে আজাদ নামে পথচারী বলেন, কুশাতলা থেকে উলাবাড়িয়া যাওয়ার সড়কে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কারণে সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় মাটি পড়ে সড়ক কাঁদা কাঁদা হয়ে গেছে। এ সকল অবৈধ ভেকু মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বাঁকিওলমা এলাকায় রাত-দিন ভেকু দিয়ে বিলের মাটি কেটে ছয়লাভ করে ফেলছে ভেকু মালিকেরা।
পুকুর খনন করা বিষয়ে এক ভেকু ব্যবসায়ী কালামের সঙ্গে হাটুরিয়া পুকুর খননের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা। পুকুর খনন করার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আপনি তার সঙ্গে কথা বলেন।
আরো এক ভেকু ব্যবসায়ী মাসুদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সড়ক দিয়ে আমার কোন গাড়ি (ট্রাক্টর) চলাচল করেনি, আমি গ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানা এবং ঈদগাহ মাঠে মাটি দিচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে কেউ যদি কোন অভিযোগ দিয়ে থাকে তা সত্য নয়।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের আফজাল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, পুকুর ও জমি কোনটাই আমার না। পুকুর থেকে আমরা যতটুকু মাটি নিচ্ছি রাতে, দিনে কোন মাটি কাটা হয় না। এবং রাত নয়টার পর থেকে তিনটা পর্যন্ত মাটি কাটা হয়। এই মাটি গুলো সব ইট ভাটায় যায়।
এবং রাস্তায় কোন মাটি পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে। ইট ভাটার মালিক আশাদুদ জামান টফি বলেন, একটা পুরাতন পুকুর থেকে আমাদের দুটি ইট ভাটায় মাটি যাচ্ছে, তবে এই বিষয়ে আমাদের চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন। তাছাড়া আমরা ইট ভাটার জন্য মাটি কোথায় পাব।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে আমি শুনলাম, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।