মান্দায় প্রতিপক্ষের মারধরে আহত তরুণের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক: নওগাঁর মান্দায় চায়ের দোকান ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের মারধরে আহত তরুণের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পর তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঈদের পরদিন গত শুক্রবার মাগরিবের আজানের সময় প্রতিপক্ষের মারধরে আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
নিহত তরুণের নাম সাদেকুল ইসলাম ছোটন (২৩)। তিনি উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের বাদলঘাটা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত একই এলাকার অনিক মাহমুদ সাগর (৩০) ও মাইনুল ইসলাম (২৫) পলাতক রয়েছেন।
নিহত ছোটনের চাচাতো ভাই প্রত্যক্ষদর্শী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘গ্রামের মোড়ে ছোটনের বাবা আব্দুর রাজ্জাকের একটি চায়ের দোকান আছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে একই এলাকার অনিক মাহমুদ সাগর ও মাইনুল ইসলাম মাঠ থেকে মোড়ে আসে। এর পর কোনো কারণ ছাড়াই আব্দুর রাজ্জাকের চায়ের দোকানটিতে তাঁরা ভাঙচুর শুরু করে।’
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, ছোটন বাবার চায়ের দোকান ভাঙচুরের প্রতিবাদ করলে সাগর বাঁশ দিয়ে ছোটনের মাথায় আঘাতসহ এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই ছোটন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত ছোটনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার ছেলেকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি করছি।’
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুর রাজ্জাক গতকাল রাতে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সোনালী/ সা