ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৫:২২ পূর্বাহ্ন

নিয়ামতপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ৬ ব্যবসায়ীর স্বপ্ন

  • আপডেট: Tuesday, March 12, 2024 - 10:15 pm

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: রবিউল ইসলাম ৬০ হাজার টাকায় ১০০টি মুরগি কিনেছিলেন। মঙ্গলবার এলাকায় মাইকিং করার কথা ছিল তার। কিন্তু মাইকিং আর করা হয়নি। রাতের অন্ধকারে আকস্মিক এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তার দোকানের সব মুরগি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সাথে সাথে এ ঘটনায় মুরগি খামারি রবিউলের স্বপ্নও ভঙ্গ হয়ে গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রবিউলের মতো আরও পাঁচ দোকানির স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা আনন্দ বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মুরগি খামারসহ চা স্টল, মুদি দোকান, টেইলার্স ও কাঠের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ছয় ব্যবসায়ীর দাবি, তাদের প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রবিউল ইসলাম জানান, আমি গরিব মানুষ। বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ করে মুরগির ব্যবসা করি। রমজান উপলক্ষে খামারে তিনি ৬০ হাজার টাকার মুরগি কিনেছিলেন বিক্রি করে লাভের আশায়। কিন্ত রাতের আগুন আমাকে নিস্ব করে দিল। সমিতির ঋণ কিভাবে শোধ করব বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় মাথায় হাত উঠেছে তার।

পাপুল সরকার জানান, তিনি তিন মাস আগে সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চা স্টল করেছিলেন। ব্যবসা ভালোই হচ্ছিল। আগুনে সব শেষ হয়ে গেল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত তিনটার দিকে একটি চায়ের স্টলে হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এরপর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের চা স্টল, মুদি দোকান, টেইলার্স, কাঠের দোকান ও মুরগির দোকানে।

স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে নিয়ামতপুর ও মান্দা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ছয়টি দোকান আগুনে পুড়ে যায়।

নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাহাদাৎ হোসেন বলেন, তাঁরা রাত তিনটা ৫০ মিনিটে অগ্নিকান্ডের খবর পান। খবর পেয়েই তাঁদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে চা-দোকানের চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোনালী/জেআর