রাবির প্রধান ফটকে গতিরোধক নির্মাণসহ ৫ দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ তিনটি গেটে গতিরোধক নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানান তারা। তাদের অন্য চারটি দাবি হলো, ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ, ফুটপাত দখলমুক্ত করা, গাড়ির গতিসীমা ২৫-৩০ কিলোমিটারের মধ্যে রাখা এবং সবগুলো গেইটে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘ফুটপাত দখল মুক্ত করুন’, ‘আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই’, ‘আর কোনো হিমেল আমরা হতে চাই না’, ‘আর কোনো মায়ের বুক খালি না হোক’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম রহমানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সজীব মেহেদী।
এ সময় বক্তব্য দেন সংগঠনটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফওজিয়া নওরীন, কোষাধ্যক্ষ অনিক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহায়ের ইসলাম, পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ। মানববন্ধনে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
কোষাধ্যক্ষ অনিক আহমেদ বলেন, গত এক বছরে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আর কতো মানুষ ও শিক্ষার্থী রাস্তায় প্রাণ দিবে! বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে আমরা কেন জীবন হারাবো। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে কেন গতিরোধক দেওয়া হয়নি ? আমরা কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কয়েকটি দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কাছে তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ তাদের এই দাবিগুলো আমলে নেয়নি। তিনি অবিলম্বে গতিরোধক নির্মাণ, ফুটওভার ব্রীজ স্থাপন এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার দাবি জানান।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়কের কাজ শেষ না হতেই ফুটপাত দখল হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাইরে থাকায় এই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ার কারণে রাস্তা দিয়ে ভয়ে যাতায়াত করতে হয়। এখন যদি শিক্ষার্থীদের এসব বিষয় আমলে না নেয় তাহলে আমরা কার কাছে যাব।
মাহায়ের ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে প্রতিদিন ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াত। ক্যাম্পাসের তিনটা গেটে রাস্তা পার হতে আধা ঘন্টা মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমরা শিক্ষার নগরীতে আছি অথচ এতোবড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায় স্পীড ব্রেকার (গতিরোধক) দেওয়া হয়নি। স্মারকলিপি দেওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ নিরব থাকায় আজকে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। একজন শিক্ষার্থীর জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেই সাথে সাথে সেখানে স্পীড ব্রেকার এবং ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের কিছু হওয়ার আগেই প্রশাসনকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান–উল–ইসলাম বলেন, প্রধান ফটকে গতিরোধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো গেটেই হবে।
সোনালী/জেআর