ঢাকা | মে ১৮, ২০২৪ - ৫:২৪ অপরাহ্ন

আ’লীগের নাম নিয়ে যারা অন্য প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন, তারা প্রতারক: ডাবলু

  • আপডেট: Tuesday, January 2, 2024 - 10:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ছয় ছয়টি দল পরিবর্তন করে এখন আওয়ামী লীগের নাম করে মানুষের কাছে ভোট চাচ্ছেন। আবার মাইকে বাজাচ্ছেন- শেখ হাসিনার সালাম নিন “অন্য একটি” প্রতীকে ভোট দিন। আমরা বলতে চাই যিনি এমনটি করছেন, তিনি সরাসরি শেখ হাসিনার সঙ্গে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। সেই মানুষটি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে একজন নিকৃষ্ট হয়ে থাকবেন। যারা নৌকার বাইরে গেছেন; তারা অচিরেই হয়তো কেন্দ্র থেকে সেটির ফল পেয়ে যাবেন।

মঙ্গলবার বিকালে নগরীর বিনোদনপুর বাজারে নৌকার পক্ষে আয়োজিত পথসভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পথসভায় রাজশাহী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশাসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নৌকার জয় সুনিশ্চিত উল্লেখ করে ডাবলু বলেন, আমরা যারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি, তারা কখনোই শেখ হাসিনার বাইরে, বঙ্গবন্ধুর বাইরে, নৌকার বাইরে যেতে পারি না। আজকে শহরজুড়ে হাজারো মানুষের যে সমর্থন দেখছি, দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- আগামী ৭ তারিখে নৌকার জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না ইনশাল্লাহ।

নগর আ’লীগের দুই বারের এই সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এই মতিহার চত্বরে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা আমাদের অনেক নেতাকর্মীর হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির প্রতি তাদের এতোই আক্রোশ; তারা আমাদের নেতাকর্মীদের শুধু হত্যাই করেনি; হত্যার পর তাদের দেহ ম্যানহলে ঢুকিয়ে রেখেছিল। ২০০৮ সালে জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার পর আমরা সেই ভয়াবহ সন্ত্রাস থেকে মুক্তি পেয়েছি।

ডাবলু সরকার বলেন, ২০০৮ সালে এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা ফজলে হোসেন বাদশার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। আপনারা সেদিন ফজলে হোসেন বাদশাকে নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করেছিলেন। ফজলে হোসেন বাদশা এমপি হওয়ার পরে নেত্রীর দেয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন। এটিই সত্য। তিনি কখনোই ঠিকাদারী কাজের বিনিময়ে পার্সেন্টেস খাননি। ১৫ বছর এমপি আছেন, কখনোই ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। তার দ্বারা মানুষ কখনো নির্যাতিত হয়নি। তিনি যখনই সংসদে দাঁড়িয়েছেন; এই রাজশাহীর দুঃখি মানুষের কথাই বলেছেন। রাজশাহীর উন্নয়নে তার অবদান আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। ছাত্রজীবন থেকে মানুষটি রাজশাহীর জন্য যা করেছেন; তা আমরা ভুলে যায়নি, রাজশাহীর মানুষও ভুলেনি। সে কারণেই আজ ২০২৪ সালে এসেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নৌকার বিশ্বস্ত কাণ্ডারি হিসেবে ফজলে হোসেন বাদশার ওপরেই রেখেছেন। আবারও তাকেই নৌকা দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমরা আজকে যারা ফজলে হোসেন বাদশার পাশে দাঁড়িয়ে আছি; তারা মনপ্রাণে বিশ্বাস করি- জননেত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু ও নৌকার বাইরে আমরা যেতে পারি না। যারা নৌকার বাইরে গেছেন; তারা অচিরেই হয়তো কেন্দ্র থেকে সেটির ফল পেয়ে যাবেন।

সোনালী/জেআর