সন্ধান মিলেনি তিন কৃষকের, পাওয়া যায়নি নৌকা দুটি
স্টাফ রিপোর্টার: পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির তিনদিনের সন্ধান মেলেনি কৃষকদের। নিখোঁজ তিনজনের জীবিত থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই ধারনা করেই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেছে ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার দুপুরের তারা এই ঘোষণা দেয়।
গত রোববার নৌকাডুবির পর থেকেই পদ্মা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চারজন ডুবুরি ঘটনাস্থল থেকে চারঘাট ও বাঘা পর্যন্ত অনুসন্ধান চালায়। কিন্তু নিখোঁজদের কোনো সন্ধান মেলেনি। ডুবে যাওয়া নৌকা দুটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের অফিসার লতীফুল বারী বলেন, তিন দিন সন্ধান চালিয়েও নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পরিবারের সদস্যরা খোঁজ রাখছেন। কোথাও মরদেহ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে তা উদ্ধার করতে সহযোগিতা করবেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ২১ জন কৃষক একটি নৌকা নিয়ে সাতবাড়িয়া এলাকার মিজানের মোড় বালুরঘাট থেকে মধ্য চরে কৃষিকাজের জন্য যাচ্ছিলেন। নৌকাটি ছোট, অতিরিক্ত যাত্রী ও বড় ঢেউয়ের কারণে মাঝ নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ১৮ জন সাঁতরে ফিরে আসলেও তিনজন আসেননি। তাদের উদ্ধারের জন্য সারাদিন অভিযান চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
পদ্মা নদীতে নিখোঁজ তিনজন হলেনÑ চরসাতবাড়িয়া এলাকার মৃত ইসাহাকের ছেলে গোলাম নবী, চরশ্যামপুর এলাকার মৃত মোহাম্মদের ছেলে সাদেক আলী, একই এলাকার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম। এদের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এরা সবাই কৃষক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এছাড়াও ডুবে যাওয়া নৌকার ওখানে সকাল নয়টার দিকে আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওই নৌকা পদ্মার মধ্য চর থেকে কাশফুলের খড় নিয়ে এপারে আসছিল। যাত্রী ছিলেন তিনজন। তবে তারা সাঁতার কেটে পাড়ে ফিরে এসেছেন। ওইদিন বিকেলে তালাইমারী এলাকার বিজিবি ক্যাম্পের সামনে আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবন্ত নৌকার যাত্রীদের উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা। তবে সকালে ডুবে যাওয়া নৌকা দুটিও উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।