ঢাকা | মে ৩, ২০২৪ - ৬:০১ অপরাহ্ন

ব্যবস্থাপনার কাজে পরিচালকদের হস্তক্ষেপ নয়: গভর্নর

  • আপডেট: Saturday, August 27, 2022 - 5:55 pm

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ব্যাংকের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কাজ সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করবেন। পরিচালকদের জন্য নির্দিষ্ট দায়িত্বের বাইরে হস্তক্ষেপ করলে তা ব্যাংকের জন্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরেই আমি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা জানার চেষ্টা করেছি। এখন যে সমস্যা (ডলার সংকট) দেশে বিরাজ করছে এটি বেশি দিন থাকবে না। সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বই এখন চ্যালেঞ্জের মধ্যে। এ অবস্থায় ব্যাংক ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা উঠিয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এখন সুদহারের এক অংকের (৯ শতাংশ) নির্দেশনা তুলে দিলে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিঘ্নিত হবে সরবরাহ। তাই এ মুহূর্তে ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা উঠানোর কোনো সিদ্ধান্ত আসবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের অংক দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। যা এযাবতকালের সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের অংক।

এদিকে ঋণ ও বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুদের হারে সিঙ্গেল ডিজিট কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একমাত্র ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণ ও বিনিয়োগের ওপর সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। ব্যাংকগুলো প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে এর চেয়ে কম সুদও নির্ধারণ করতে পারবে। তবে কোনোক্রমেই ৯ শতাংশের বেশি সুদ নেয়া যাবে না। নিয়মিত ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে অতিরিক্ত কোনো মুনাফা বা দণ্ড সুদও আরোপ করা যাবে না। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে আসছে ব্যাংকগুলো।

সোনালী/জেআর