ঢাকা | মে ১৭, ২০২৪ - ৪:১৬ অপরাহ্ন

সিগারেটের দাম বাড়াতে একাট্টা এমপিরা

  • আপডেট: Thursday, May 2, 2024 - 10:00 pm

অনলাইন ডেস্ক: ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে দেশে সিগারেটের সহজলভ্যতা কমাতে হবে বলে দাবি জানান তারা।

সম্প্রতি মূল্যস্ফীতি এবং আয়ের প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন, মধ্যম,ও উচ্চ, ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ৩৩ শতাংশ, ১৯ শতাংশ, ১৫ শতাংশ এবং ১৩ শতাংশ বাড়ানোর আহ্বান জানান এমপিরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশন ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেটে ‘সিগারেটের ওপর কার্যকর করারোপ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এ আহ্বান জানান তারা।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে সভায় আলোচনা করেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, মুহাম্মদ আফতাব উদ্দিন সরকার (নীলফামারী-১), ফেরদৌস আহমেদ (ঢাকা-১০), জারা জাবীন মাহবুব (মহিলা আসন-৭), মো. আব্দুর রশিদ (জামালপুর-৪), সাহাদারা মান্নান (বগুড়া-১), মো. আসাদুজ্জামান আসাদ (রাজশাহী-৩), খাদিজাতুল আনোয়ার (চট্টগ্রাম-২) এবং মো. শফিকুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ-৪)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এসএম জুলফিকার আলী (রিসার্চ ডিরেক্টর, বিইইটিসি ফোরাম), ড. নাজমুল ইসলাম ( বুয়েট), ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী (ডিন, ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়)। উন্নয়ন সমন্বয়-সহ আরও কয়েকটি তামাক-বিরোধী সংগঠনের পক্ষে সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী।

মো. আফতাব উদ্দিন সরকার এবং আব্দুর রশিদ নিম্ন আয়ের মানুষ এবং কিশোর-তরুণদের সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেটে সিগারেটের খুচরা মূল্য বাড়ানো এবং এগুলোর ওপর বেশি বেশি করারোপের পক্ষে মত দেন।

এসডিজিসহ জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি, আর সে জন্য সিগারেট ব্যবহার কমাতে বাজেটে যথাযথ উদ্যোগ থাকা বাঞ্ছনীয় বলে অভিমত দেন ফেরদৌস আহমেদ এবং জারা জাবীন মাহবুব।

সিগারেট বিক্রি থেকে আসা করের পরিমাণের চেয়ে সিগারেটের কারণে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির দিকে বেশি নীতি-মনোযোগ দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তারা।

আতিউর রহমান বলেন, সিগারেটে কার্যকর করারোপই এই ক্ষতিকারক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এ কারণেই দেশের তামাকবিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলো সিগারেটে কার্যকর করারোপের পক্ষ অবস্থান নিয়েছে। তবে সিগারেট ব্যবহার কমলেও যেন সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় চাপ না পড়ে- সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।

এই প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে একদিকে সিগারেট ব্যবহারের হার ৯ শতাংশ কমবে, অন্যদিকে সিগারেট বিক্রি থেকে আসা করের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বাড়বে বলে জানান তিনি।

সোনালী/জেআর