ঢাকা | মে ১, ২০২৪ - ৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

আশুরা ও কারবালার মহিমা সবাইকে আলোকিত করুক

  • আপডেট: Tuesday, August 9, 2022 - 12:03 am

পবিত্র আশুরা আজ। হিজরি সালের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ। ইসলামী পরিভাষায় মহররম শব্দের অর্থ পবিত্রতম ও মর্যাদাপূর্ণ।

কারবালার ঐতিহাসিক ও বেদনাদায়ক ঘটনাও আশুরার দিনেই সংঘটিত হয়। বিশ্বের ইতিহাসে রচিত হয় এক শোকাভিভূত অধ্যায়। এই দিনে অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা:) চক্রান্তকারী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে মর্মান্তিকভাবে শাহাদত বরণ করেন। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে দিনটি একদিকে যেমন গভীর শোকের, তেমনি হত্যা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অটল থাকার চেতনায় উজ্জ্বল।

ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন, সঙ্গি-সাথীসহ হযরত ইমাম হোসাইন (রা:) এর শাহাদত বরণের মর্মান্তিক ঘটনা ছাড়াও এই দিনে অনেক ঐতিহাসিক ও তৎপর্যময় ঘটনার উল্লেখ আছে হাদিসে। আদি মানব হযরত আদম (আ:) এই দিনে পৃথিবীতে আগমন করেন। এই দিনেই তাঁর তওবা কবুল হয়। ১০ মহররম নূহ (আ:) এর নৌকা মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পায়। এর বাইরেও এই মহিমাময় দিনে আরও অনেক তাৎপর্যময় ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ইসলামের ইতিহাসে।

হাদিস শরীফে আছে মহররম মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ শোকাবহ এই আশুরার দিনেই কেয়ামতের মহাপ্রলয় ঘটবে। ইসলামের ইতিহাসে ১০ মহররম তারিখটির নানা গুরুত্ব ও তাৎপর্য থাকলেও কারবালায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণেই বিশ্বের মুসলমানেরা যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যে দিনটি পালন করে থাকেন। অনেকেই রোজা রাখেন, ইবাদত-বন্দেগিতে সময় কাটান।

আশুরার ঐতিহাসিক ঘটনার শিক্ষা হচ্ছে, ক্ষমতার লোভ ও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য চক্রান্ত ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের চেতনা ধারণ করা। বর্তমান বিশ্বে আশুরার শিক্ষা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান ও ত্যাগের যে শিক্ষা কারবালার ঘটনা মানবজাতিকে দিয়েছে তা আজকের দুনিয়ার অন্যায়-অবিচার দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

তাই নিছক দিবস পালনের আনুষ্ঠানিকতার পরিবর্তে পবিত্র আশুরা ও কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার শিক্ষাই আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিফলিত হয়, এটাই কাম্য। এই চেতনাই যেন আমাদের কাছে মূখ্য হয়ে ওঠে। আশুরা ও কারবালার ত্যাগের মহিমা আমাদের হৃদয়কে আলোকিত করুক, পরিশুদ্ধ করুক।