ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন

গৃহবধুর অশ্লীল ছবি ছড়ানোর হুমকি, ব্যাংক কর্মকর্তার জেল

  • আপডেট: Wednesday, August 3, 2022 - 10:33 pm

স্টাফ রিপোর্টার: গৃহবধুর অশ্লীল ছবি ধারণ করে ছড়ানোর হুমকি দেয়ায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরের দিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি ধারায় তাকে কারাদণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণাকালে আদালতের উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা। পরে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

দণ্ডিত ব্যাংক কর্মকর্তার নাম রাজু আহম্মেদ (৩৫)। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক টাঙ্গাইলে কর্মরত। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শিবজাইট এলাকার সনজেব আলী প্রামাণিকের ছেলে।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫(২) ও ২৯ (১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আসামি রাজু আহম্মেদ। একটি সাজা কার্যকর হওয়ার পর আরেকটি সাজা কার্যকর হবে। আর মামলার হাজতবাস মূল কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে।

ইসমত আরা জানান, ঘটনার সময় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর বাবা দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসার জন্য ভারতে থাকায় ছোট ভাই ও বোনের দেখা-শোনার দায়িত্বে বাবার বাড়িতে ছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে ওই সময় মিথ্যা মামলায় তার স্বামী জেলহাজতে যান।

অন্যদিকে ছুটির দিনগুলোতে গ্রামের বাড়িতে আসতেন অভিযুক্ত রাজু আহম্মেদ। এক দিন গ্রামের দোকানে তার সঙ্গে গৃহবধূর দেখা হয়। আলাপের এক পর্যায়ে রাজুকে নিজের দূরবস্থার কথা জানান ওই গৃহবধূ।

তার স্বামীকে ছাড়িয়ে আনার আশ্বাস দিয়ে মোবাইল নম্বর নেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় ফোন করে অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছিলেন রাজু। এক পর্যায়ে তার বাবার বাড়িতে অসতর্ক মুহূর্তের নগ্ন ছবি ধারণ করেন রাজু। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে দৈহিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেন।

২০২১ সালের ১৩ মার্চ তার স্বামী জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপরও ওই নারীকে দৈহিক সম্পর্কে জড়াতে নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিলেন রাজু। কিন্তু তাতে রাজি হননি গৃহবধূ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূর স্বামীর মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি ও এসএমএস পাঠান। এসব নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ জুলাই রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। মামলা নম্বর ৬। তদন্ত শেষে আসামি রাজু আহম্মেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।