বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিযোগিতায় দেশসেরা রাজশাহীর স্কুল
স্টাফ রিপোর্টার: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় দেশসেরা হয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। থানা, জেলা ও বিভাগ পেরিয়ে স্কুলটি জাতীয় পর্যায়ে দেশসেরা প্রতিষ্ঠানের সম্মান অর্জন করল। দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
সারাদেশের কয়েক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণীর প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এক লাখেরও বেশি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক তথ্যচিত্র জমা পড়েছিল। সোমবার (২০ জুন) ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিটিস্টিউট মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক, কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব কামাল হোসেনসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। আমন্ত্রিত হয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর হাবিবুর রহমানও।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোয়াজ্জেম হোসেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদসহ অতিথিদের হাত থেকে চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা পুরস্কার, একটি ক্রেষ্ট ও বিজয়ী সনদ গ্রহণ করেন। এ সময় স্কুলের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিল।
অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে জানতে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সরাসরি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে যায়। তাঁদের স্মৃতিচারণমূলক সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকারের ভিডিওচিত্র ধারণ ও সম্পাদনা করে। এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশাত্ববোধ জাগ্রত হবে বলে মনে করেন তিনি।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি অনন্য অর্জন আমাদের। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ রাজশাহীসহ দেশের একটি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিরল এ অর্জন একদিকে যেমন আনন্দের তেমনি অন্যদের জন্য প্রেরণারও বটে। আমি স্কুলের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’