ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১:১৮ অপরাহ্ন

এসডব্লিউআইপি পরির্দশনে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান

  • আপডেট: Wednesday, May 25, 2022 - 10:42 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ণ কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পুকুর পুনঃখনন ও ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যম ক্ষুদ্র সেচ ব্যবহার (এসডব্লিউআইপি) পরির্দশন করেছেন বিএমডিএ এর চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান।

বুধবার এই প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী পবা উপজেলার কসবা মৌজায় অবস্থিত খাস পুকুরের পুনঃখনন কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় বেগম আখতার জাহান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেভাবেই বাংলাদেশ কৃষি খাতকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে বিশ্ব দরবারে। তার একক প্রচেষ্টায় আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে। এমন কি খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সংকট নিরসনের জন্য পুকুর পুনঃখননের যে প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে তা যুগউপযোগী এবং বাস্তবমুখী একটি প্রকল্প। এ পুকুর পণ্য খননের ফলে মানুষ এখন জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার করতে আগ্রহ বাড়ছে এতে বরেন্দ্র অঞ্চলের পানির যে সংকট তা অনেকাংশে লাঘব হবে। এই পানি ব্যবহার করে স্বল্প সেচের মাধ্যমে যেসকল ফসল উৎপাদন করা যায় মানুষ তা সহজে করতে পারবেন।

এছাড়া পুকুর খননের পর পুকুরের চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ঔষধ গাছ রোপন করা হয়েছে, যা আমাদের অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণে অনেক সাহায্য করবে। পুকুর পুনঃ খননে বরেন্দ্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাব্যক্ত করেন এবং প্রকল্পের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।

এময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শরীফুল হক, বিএমডিএর সচিব প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন, পবা জোনের সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আলম।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শরীফুল হক জানান, প্রকল্প এলাকাগুলো হলো- রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও বগুড়া জেলা। এর মধ্যে ৪৩টি উপজেলা রয়েছে। এই প্রকল্পে পুনঃখননের জন্য মোট ৭১৫টি খাস পুকুর আছে। তন্মম্যে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪৫০টি পুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বরেন্দ্র এলাকার বৃষ্টিপাত দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় অনেক কম। সাম্প্রতিক সময়ে এর পরিমান হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া বৃষ্টিপাত পূর্বের ন্যয় যথাসময়ে হচ্ছে না। সর্বোপরী সংস্কারের অভাবে নদী ও বিল গুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ায় কৃষিকাজ ক্রমান্বয়ে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

এর ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দিনদিন নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলন ও ব্যবহার সীমিত করে পুকুর পুন:খনন ও সংস্কারের মাধ্যমে ভূপৃষ্টে পানির ব্যবহার বাড়ানের লক্ষ্যে পুকুর পুন:খননের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যাতে করে শুস্ক মৌসুমসহ সারা বছরে সবসময় চাষবাদে পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়।