ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১:৪৭ অপরাহ্ন

আবাদপুকুর সড়কে থৈ থৈ পানি

  • আপডেট: Wednesday, May 25, 2022 - 10:37 pm

এসএম সাইফুল ইসলাম, রাণীনগর (নওগাঁ) থেকে: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড থেকে আবাদপুকুর ভায়া-কালীগঞ্জ সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় সড়কে কয়েক দফা বৃষ্টিতে এখন থৈ থৈ পানি। আবাদপুকুর হয়ে কালিগঞ্জ সড়কে বনমালিকুড়ি নামক স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের উপর বৃষ্টির পানি জমে যানবাহন চলাচল চরম বিড়ম্বনাসহ এলাকা বাসিদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছে, জন স্বার্থে এই সড়কটি দ্রুততম সময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে চলাচলের জন্য উপযোগী করা হোক। তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলালের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ ২২ কিলোমিটার সড়কটির প্রশস্ত ও আধুনিকায়ন কাজের জন্য ২০১৮ সালে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগ দরপত্র আহবান করে। এতে ২২ কিলোমিটার সড়ক, ২৬টি কালভার্ট ও ৪টি সেতু নির্মানে জন্য মোট ব্যয় ধরা হয় ১০৫ কোটি টাকা। কার্যাদেশের চুক্তি মোতাবেক সড়কটি নির্মাণ কাজের সময় দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।

এর মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালভার্ট ও সেতুর কাজ শুরু করে। পাশাপাশি সড়কের প্রশস্তকরণ, মাটি ভরাট এবং কার্পেটিংয়ের কাজ ও শুরু করে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের অনিয়ম করা, কাজে চরম গাফিলতি ও নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারায় নওগাঁ সড়ক বিভাগ থেকে তাকে কয়েক দফা চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়। এক পর্যায়ে সড়কটি নির্মান কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কার্যাদেশের সময় ও বৃদ্ধি করা হয়। বর্ধিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ না করায় নানা অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নওগাঁর সড়ক বিভাগ কার্যাদেশের চুক্তি ০৩-০৫-২০২১ইং তারিখে বাতিল করে।

এরপর নানা আইনে নানা জটিলতার কারণে এই সড়কের নির্মান কাজ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি কয়েক মাস আগে উপজেলা সদর থেকে আবাদপুকুর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কের খানা খন্দগুলো ইটের খোয়া দ্বারা ভরাট করে রোলার দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে সংস্কার করা হয়। কিন্তু আবাদপুকুর থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার না করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি নামলেই এই সড়কের উপর পানি থৈ থৈ করে। ফলে জনগণের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে পায়ে হেঁটে চলতে গিয়ে যানবাহনের পানি ছিটকে কাপড় নষ্ট হয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

উপজেলার একডালা ইউনিয়নের স্থল গ্রামের পথচারি সুদর্শন কর্মকার জানান, বর্তমানে সড়কটি পানি-কাদায় একাকার হওয়ায় চলাচল করতে খুব অসুবিধা হয়। সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় যানবাহনে চলাচল করতে দ্বিগুন ভাড়াও গুনতে হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি দ্রুত সড়কটি মেরামত করা হোক।

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান জানান, ইতি মধ্যেই জনস্বার্থে উপজেলা সদর থেকে আবাদপুকুর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করা হয়েছে। তবে আবাদপুকুর চার মাথা থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করবো। নানা আইনী প্রক্রিয়া শেষে ইতিমধ্যে এই ২২ কিলোমিটার সড়কের পুনঃনির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এখন চলছে দরপত্র মূল্যায়নের কাজ। এটি সম্পন্ন হলেই ঠিকাদার নিয়োগ করে এই সড়কের পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।