ঢাকা | অক্টোবর ১৮, ২০২৪ - ৮:২৫ অপরাহ্ন

ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড দিবস পালিত

  • আপডেট: Sunday, April 24, 2022 - 9:08 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকাল ১০টায় কারাগারের ভেতরে খাপড়া ওয়ার্ডের সামনে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর।

দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবুর নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে আন্দোলনরত কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান। এই বীর শহীদেরা যুগে যুগে তরুণ প্রজন্মের জন্য অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। তারা বর্তমান প্রজন্মের মানবিক ও সমাজতান্ত্রিক সমাজ-রাষ্ট্র বিনির্মাণের লড়াই-সংগ্রামে পথ দেখিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, নগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এন্তাজুল হক বাবু, সাদরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মতিন, মনিরুদ্দীন পান্না, মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, শামীম ইমতিয়াজ, আলমগীর হোসেন, মহানগর ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ওহিদুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে খাপড়া ওয়ার্ডে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। রোববার সকালে রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজে খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ দিবস পালন কমিটি এর আয়োজন করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা উদীচী ও খেলাঘর আসর বিপ্লবী গান এবং কবিতা আবৃত্তি করে। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মর্ত্তুজা খালেদ। সভাপতিত্ব করেন ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিবির জেলা কমিটির সভাপতি এনামুল হক ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা প্রয়াত মনসুর হাবিবুল্লার মেয়ে ডা. মমতাজ সংঘমিতা।

উল্লেখ্য, নিম্নমানের খাবার ও বন্দি নির্যাতনের প্রতিবাদে অনশন ও আন্দোলন করায় ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালায় তৎকালীন পুলিশ। এতে নিহত হন ময়মনসিংহের কমরেড সুখেন্দু ভট্টাচার্য, দিনাজপুরের বলরাম সিংহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুধীন ধর, কুষ্টিয়ার দেলোয়ার হোসেন ও হানিফ শেখ এবং খুলনার বিজন সেন ও আনোয়ার হোসেন। তারা সবাই কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় কর্মী ছিলেন।