ঢাকা | মে ৩, ২০২৪ - ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তি চরমে

  • আপডেট: Saturday, April 23, 2022 - 12:42 pm

অনলাইন ডেস্ক: যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। এতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ৪ কিলোমিটার ও গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ২ কিলোমিটার সড়কে যানবাহন আটকে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে যানবাহনের সারি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকা ছেড়ে গেছে। রাত থেকেই ফেরি পারের জন্য মহাসড়কে অপেক্ষা করছে শত শত যান। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে যাত্রীসহ চালকরা। অনেক অসুস্থ রোগী ঠিক সময়ে যেতে পারছে না ডাক্তারের কাছে।

এছাড়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চাপ কমাতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে কল্যাণপুর বাজার পর্যন্ত আরও দুই কিলোমিটার এলাকায় ২ শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে ঘাট এলাকায় চাপ কমাতে ও ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের আগে তিন দিন ও পরের তিন দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকার খবরে ঘাট এলাকায় ট্রাকের অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে ফেরিতে উঠার সংযোগ সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় ফেরি লোড-আনলোডে ধীরগতি হচ্ছে। এতে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারি দীর্ঘ হচ্ছে।

এক ট্রাকচালক বলেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে চাল নিয়ে ঢাকার কারওয়ান বাজার যাচ্ছি। আট ঘণ্টারও বেশি সময় হয়ে গেল ঘাট এলাকায় এসে আটকে আছি।

ঢাকাগামী রয়েল এক্সপ্রেসের এক যাত্রী জানান, অসুস্থ বাবাকে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দুপুর ১টায় ডাক্তারের সিরিয়াল দেয়া আছে। কিন্তু ঘাট এলাকায় যানজটের কারণে তিন ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় বাস দাঁড়িয়ে আছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, বর্তমানে এই নৌরুটে ১৯টি ফেরি চলাচল করলেও ঈদ উপলক্ষে আরও দুটি ফেরি বহরে যুক্ত হবে।

তিনি জানান, ঈদের আগে ও পরে পণ্যবাহী ট্রাক বন্ধ থাকার খবরে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো একযোগে রাজধানীমুখী হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে ফেরিতে ওঠার সংযোগ সড়ক কর্দমাক্ত হওয়ায় ফেরি লোড-আনলোডে সময় বেশি লাগছে। তাছাড়া ঢাকা থেকেও অনেকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার পরিজনকে আগেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যে কারণে ঘাটের দুই প্রান্তেই কিছুটা যানবাহনের চাপ তৈরি হয়েছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটের নৌপথে মাস দু-এক ধরে একটি ডুবোচর টের পাচ্ছেন ফেরিচালকেরা। খনন (ড্রেজিং) করে চরটি অপসারণ করা হলে ফেরি চলাচল সহজ হতো। তবে সেই উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

সোনালী/জেআর