ঢাকা | এপ্রিল ৩০, ২০২৪ - ৩:৪০ অপরাহ্ন

কমলাপুরে টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়

  • আপডেট: Friday, April 22, 2022 - 9:03 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর একদিন আগেই উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে কমলাপুর রেলস্টেশনে। অথচ অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে শনিবার (২৩ এপ্রিল)।

মূলত আরামে ঈদযাত্রা নিশ্চিতে শুক্রবার সকালেই টিকিট সংগ্রহে লাইনে দাঁড়িয়েয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এ ভিড় সকাল থেকে প্রচন্ড আকার ধারণ করলেও দুপুরের দিকে কিছুটা কমতে শুরু করে।

রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে ২৬ তারিখের ট্রেনের টিকিট কাটতে কমলাপুরে এসেছেন শামীম হোসেন।

তিনি বলেন, অগ্রিম টিকিটের জন্য কাল (শনিবার) কমলাপুরে প্রচন্ড ভিড় হবে। তাই ভেবেছিলাম একদিন আগের টিকিট কেটে চলে যাব, সেক্ষেত্রে ভিড় তেমন একটা হবে না। কিন্তু সকালে কমলাপুরে এসে দেখি প্রচন্ড ভিড়।

এদিকে আরেক টিকিটপ্রত্যাশী তুহিন তৌহিদ বলেন, টিকিট কাটতে সকালে কমলাপুর এসে দেখি হাজার হাজার মানুষ। আমি এখনও লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। জানি না কাউন্টার থেকে টিকিট পাব কি না।

কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, আজ কাউন্টারগুলোতে টিকিটপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। আজ ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর আগের দিন। অনেকে ভোগান্তি এড়াতে একদিন আগের টিকিট কাটতে এসেছে। ফলে ভিড় দেখা দিয়েছে।

এদিকে রেলের আগাম ঈদের টিকিট বিক্রি শুরুর আগেই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে অনলাইনে। সকাল থেকে সার্ভার ডাউনের কারণে বেশির ভাগ টিকিটপ্রত্যাশী প্রবেশ করতে পারেননি অনলাইনে। ফলে ২৬ তারিখের টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড় ছিল উপচেপড়া। কাউন্টারেও সার্ভার ডাউনে মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অফলাইন টিকিট বিক্রি।

আগাম ঈদ টিকিটের ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রির কথা থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকেই সার্ভার ডাউন। শত চেষ্টা করেও অনেকেই প্রবেশ করতে পারেননি ওয়েবসাইটে। যারাও বা ঢুকতে পেরেছেন বেশির ভাগই পড়েছেন ভোগান্তিতে, কারও টাকা কেটে নিলেও দেয়া হয়নি টিকিট। এ ছাড়া যাত্রার তারিখ, ট্রেনের নাম এমনকি যাত্রার সময়ও ভুলে ভরা বলে অভিযোগ অনেকের।

যাত্রীরা বলছেন, অনলাইনে ঢুকতে না পেরে কাউন্টারে ভিড় করছেন তারা। কাউন্টারেও হ্যাং সার্ভার, এতে মানুষের ভোগান্তি চরমে।

এ প্রসঙ্গে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কমের মিডিয়া ম্যানেজার ফারহাত আহমেদ বলেন, টিকিট বিক্রির প্রস্তুতি আমরা শতভাগ সম্পন্ন করেছি। অনলাইনের পাশাপাশি ৭৭টি কাউন্টার থেকে যাত্রীরা কোনো ভোগান্তি ছাড়াই টিকিট ক্রয় করতে পারবে।