ঢাকা | ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪ - ২:৪৪ পূর্বাহ্ন

দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছিলেন ‘শুট্যার’ আকাশ

  • আপডেট: Sunday, March 27, 2022 - 6:21 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার মিশন শেষ করে নির্বিঘ্নে শাহজাহানপুর এলাকা ছাড়েন মাসুম ওরফে আকাশ। এরপর দ্রুত সীমান্ত দিয়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে সফল হতে পারেননি। হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পার হতেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের একথা জানান ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু।

গাড়ি যানজটে পড়ার পর মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরা এক যুবক টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় এলোপাতাড়ি গুলিতে রিকশারোহী কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে টিপু ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

হত্যাকাণ্ডের পর গুলিবর্ষণকারীকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে নামে। আশপাশের এলাকার সিটিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অপরাধীকে শনাক্ত করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যদিও এখনো হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তাই সংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল- কীসের ভিত্তিতে আপনারা (ডিবি) বলছেন টিপুকে আকাশ হত্যা করেছে?

জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, অস্ত্র হলো একটি ঘটনার আলামত। ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। এরপর ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করি প্রধান আসামিকে। একটি কিলিং হওয়ার পরে সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করে। আমরা রাত-দিন কাজ করে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিকে ধরি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিও ঘটনা স্বীকার করেছেন। এছাড়া আসামি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, গ্রেপ্তার আকাশ হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৪-পাঁচটি মামলা রয়েছে। সে ফেরারি আসামি। এ কারণে বাড়িতে যেতে পারতেন না। তবে তার মুখের কথাই সব সত্য এমন নয়, তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।

হাফিজ আক্তার আরও বলেন, আকাশের সঙ্গে আরেকজন ছিলেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম এখনই বলা যাবে না। হত্যাকাণ্ডে দুজন অংশগ্রহণ করেন। একজন মোটরসাইকেলচালক আরেকজন মাসুম ওরফে আকাশ।