ঢাকা | মে ১১, ২০২৫ - ২:০৯ পূর্বাহ্ন

রোববার থেকে উত্তরাঞ্চলে পরিবহন ধর্মঘট

  • আপডেট: Thursday, March 24, 2022 - 10:49 pm

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী রোববার (২৭ মার্চ) থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস এমনকি সিএনজি পর্যন্ত এই পরিবহন ধর্মঘটের আওতায় থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৬ মার্চ রাজশাহীর কাটাখালীতে হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭ জন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাস চালকের এখনও জামিন না হওয়ায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী ধর্মঘটের এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে অনেক আগেই উঠে এসেছে যে মহাসড়ক দিয়ে বাঁশ নিয়ে যাওয়া ভ্যান এবং মাইক্রোবাসের বেপরোয়া গতির কারণে কাটাখালীর ওই দুর্ঘটনা ঘটে। তারপরও এক বছর ধরে চালককে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাই উত্তরাঞ্চলে এই ধর্মঘট দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, চালকের জামিনের দাবিতে ১৫ মার্চ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরদিন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের কাছে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। তারা বলেছিলেন, ২৪ মার্চের মধ্যে চালকের জামিন না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য দুই বিভাগে ধর্মঘট শুরু হবে।

এ কর্মসূচি দেওয়ার আগে বৃহস্পতিবারও রাজশাহীর আদালতে বাসচালক আবদুর রহিমের জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। এখন কঠোর কর্মসূচি দেওয়া ছাড়া তাদের কিছু করার নেই। এই কারণে দুই বিভাগের শ্রমিক নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলা ট্রাক ও ট্যাংক লরি এবং কাভার্ড ভ্যান সমিতির সহ-সভাপতি হারুন-অর-রশীদ, শ্রমিক ইউনিয়নের মাইক্রো শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. বাপ্পী, জেলা মিশুক ও সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম ভুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এক বছর আগের ওই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া সবার বাড়ি ছিল রংপুরে। মুখোমুখি সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিক হলে আগুন ধরে যায়। এতে মাইক্রোবাসের ১৮ যাত্রীর মধ্যে চালকসহ ১৭ জনই মারা যান। ওই ঘটনায় কাটাখালী থানায় সড়ক আইন অনুযায়ী একটি মামলা হয়। ওই দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিরা আগুনে পুড়ে গিয়েছিলেন। তাই তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। তাই এখন পর্যন্ত মামলার অভিযোগপত্রও দাখিল করতে পারেনি পুলিশ।

 

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS