ঢাকা | নভেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৯:২৯ অপরাহ্ন

কম দামে পণ্য কিনতে বিশেষ কার্ড পাবে এক কোটি মানুষ

  • আপডেট: Tuesday, March 15, 2022 - 7:46 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবে কম দামে পণ্য কিনতে এক কোটি লোককে বিশেষ কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা টার্গেট করেছি এক কোটি মানুষকে স্পেশাল কার্ড দেব। যেটা দিয়ে তারা ন্যায্যমূল্যে জিনিস কিনতে পারবে।’

মঙ্গলবার গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের কাছে যথেষ্ট খাদ্য মজুত আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখনো ১৮ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে আমাদের। সেখানে কোনো অসুবিধা নেই।

তিনি বলেন, ‘যে ৩৮ লাখকে আমরা টাকা দিচ্ছি তারাতো থাকবে, তার বাইরেও আরও মানে আমরা এক কোটি লোককে দেব। তাছাড়া ৫০ লাখ মানুষকে একটা কার্ড দেওয়া আছে সেটা থেকে তারা মাত্র ১০ টাকায় চাল কিনতে পারে। সেই ব্যবস্থাটা করা আছে।’

বক্তব্যে দেশবাসীকে ফসল উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কারো এতটুকু জমি যেন অনাবাদি না থাকে। যে যা পারেন সেটাই উৎপাদন করেন। প্রত্যেক এলাকায় কিছু না কিছু উৎপাদন হবেই। সেটাই আমার লক্ষ্য। তাতে আমাদের যে খাদ্য চাহিদা সেটা যেন পূরণ করতে পারি।’

রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেওয়ায় ১৪ দলের নেতাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আপনাদের ধন্যবাদ জানাই রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের সবাইকে সংলাপে ডাকলেন, গেলাম। কিন্তু বিএনপি যায়নি। তারা আসলে যাবেই বা কি? তারা ক্ষমতায় গেলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? কে নেতৃত্ব দিবেন? একজন হচ্ছেন এতিমের টাকা খেয়ে সাজা প্রাপ্ত। আরেকজন হচ্ছেন দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আরও বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক। ২০০৭ সাল থেকে ওখানে বসে বসে… আমি এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি তার সুবিধা নিচ্ছে, এটা ঠিক। বিএনপির আসলে তেমন কেউ নেই, তারা এটা, সেটা উল্টাপাল্টা বলেই যাচ্ছে, বলেই যাবে কিন্তু আমার কথা হচ্ছে জনগণ যাতে ভালো করে বাঁচতে পারে।

প্রায় তিন বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বৈঠকে বসেছে ১৪ দলীয় জোট। বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।