ঢাকা | মে ৩, ২০২৪ - ১২:৪৯ অপরাহ্ন

যুদ্ধাপরাধীর বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি পরিত্যক্ত হবে

  • আপডেট: Monday, March 14, 2022 - 7:10 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: আদালতের রায়ে যুদ্ধাপরাধীর বাড়ি বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হলে সেটা পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। এই সম্পত্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এমন বিধান রেখে ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি (সম্পূরক বিধান) আইন, ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। আর মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয় থেকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের দেশের পরিত্যক্ত সম্পত্তি হচ্ছে যারা ১৯৭১ সালে দেশ ত্যাগ করে চলে গেছে, তখন বিধি-বিধান করে পরিত্যক্ত সম্পত্তি হ্যান্ডেল করা হতো। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে একটি অর্ডিন্যান্স করা হয়। যেহেতু এটা সামরিক শাসনামলের অর্ডিন্যান্স সেজন্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নতুন আইন হিসেবে আনতে হচ্ছে।

নতুন আইনে দু-একটি সংশোধন আনা হয়েছে। আইনের মৌলিক বিষয়টি ছিল পরিত্যক্ত সম্পত্তিগুলো অর্থাৎ বাড়িগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, জমিজমা নয়। দু-ভাগের মধ্যে ছিল- একটি তিন শতাংশ জমিসম্পন্ন বাড়ি, আরেকটি তিন শতাংশের বেশি জমির বাড়ি।

তিনি জানান, তিন শতাংশের বাড়িগুলোকে সেইল লিস্ট বলা হতো। যেগুলো তিন শতাংশের বেশি জমির সেগুলো নিয়ে রিটেইল লিস্ট। সেইল লিস্টে বাড়িগুলো যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে অগ্রাধিকার অনুযায়ী ১৯৭২ সালের দাম অনুযায়ী দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর রিটেইল লিস্টের বাড়িগুলো পূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায়। এসব জমিতে অনেক অফিস আছে। এগুলো সরকারি বাড়ি হিসেবে পূর্ত মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দপ্তরকে লিজ বা ভাড়া দিয়েছে।

নতুন আইনে আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রমাণিত বা ঘোষিত কোনো ব্যক্তির বাড়ি বা সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে সংযুক্ত বা বাজেয়াপ্ত করে তবে তা পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। যেটা আগে ছিল না।

এখন মন্ত্রী, সচিবসহ বড় বড় অফিসাররা গুলশান-বনানীতে যেসব বাড়িতে থাকেন, সেগুলো ৯৯ শতাংশই পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এসব বাড়ির মূল্য অনেক বেড়ে গেছে। এক-একটি বাড়ির দাম কয়েশো কোটি টাকাও হবে।

সেজন্য আইনে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে। আগে ছিল, সরকার এই বাড়িগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। এখন এসব বাড়ির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন সরকার প্রধান।