নির্মাণ শ্রমিকদের জীবন কি এতই সস্তা!
নির্মাণ শ্রমিকদের কাজে ঝুঁকি আছে, কিন্তু নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাই প্রায়ই দুর্ঘটনায় হতাহত হবার ঘটনা ঘটে। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা দূর করার যেমন উদ্যোগ নেই, তেমনই হতাহতদের ক্ষতিপূরণের কোনো সুব্যবস্থাও নেই। ফলে অবহেলাজনিত কারণে নির্মাণ শ্রমিকের হতাহতের ঘটনা অনেকাংশেই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।
গত শনিবার রাজশাহী নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের ছোটবনগ্রাম এলাকায় কর্মরত অবস্থায় সীমানা প্রাচীরের নিচে চাপা পড়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের প্রাণ গেছে, আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। গোদাগাড়ী থেকে আসা ১৭ জন শ্রমিক পাঁচতলা বাড়ির ভিত কাটার কাজ করা অবস্থায় সীমানা প্রাচীর ধসে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাচীরের ওপারে রাখা ইটের খোয়ার চাপেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। বিষয়টি আগেই আশঙ্কা করে প্রাচীরটি ঠেকা দেয়ার কথা বলা হলেও তা করা হয়নি। ফলে হতাহতের এই ঘটনা অনিবার্য হয়ে ওঠে।
সংশ্লিষ্টদের অসচেতনতা ও দায়িত্বহীনতার এমন নজির কম নেই। বহুতল ভবন নির্মাণকালে উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে পড়ে গিয়ে মারা যাবার ঘটনা প্রায়ই পত্রিকায় সচিত্র প্রকাশিত হয়। কিন্তু তারপরও কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দেখা মেলে না। এ ধরনের বিষয়ে শ্রম দপ্তর বা সংশ্লিষ্ট অন্যদের গা ছাড়া ভাবের কারণেই নির্মাণ শ্রমিকদের জীবন থেকে নিরাপত্তাহীনতার অবসান ঘটছে না।
আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের সমানাধিকারের কথা বলা হলেও বাস্তবে নির্মাণ শ্রমিকের মতো শ্রমজীবীদের জীবনের দাম যে সস্তা সেটা দুঃখজনক হলেও অস্বীকার করার উপায় নেই। এমন অবস্থার অবসান কি হবে না?