দুই বিমান মুখোমুখি, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা!
![](https://sonalisangbad.com/wp-content/uploads/2022/03/Untitled-1-copy-57.jpg)
অনলাইন ডেস্ক: মাঝ আকাশে হঠাৎ দুর্বিপাকে পড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান। শুক্রবার (৪ মার্চ) ভারতের বারাণসী থেকে ফেরার সময় কলকাতায় নামার অল্প আগে এই ঘটনা। আকস্মিক এই দুর্যোগে মুখ্যমন্ত্রীর ছোট বেসরকারি ভাড়া নেয়া বিমানটি সাত হাজার ফুট থেকে দু’হাজার ফুটে নেমে আসে। সেই সঙ্গে টালমাটালও করতে থাকে। ঘটনায় মমতার কোমরে ব্যথা লাগে। আগে থেকেই তার কোমরে ব্যথা ছিল।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানা যায়, রাজ্য সরকারের ভাড়া করা ফ্যালকন বিমানে ইদানীং প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী যাতায়াত করেন। তবে এ দিন যে বিমানটিতে তিনি চড়েছিলেন, নির্দিষ্ট ভাবে সেই বিমানটিতে তিনি এর আগে সফর করেননি। ঘটনাচক্রে বিমানের দুই পাইলট ছিলেন বাবা ও মেয়ে। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার মিনিট চারেক পরে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানটি কলকাতার মাটি স্পর্শ করে।
এ দিন আকাশ ছিল যথেষ্ট পরিষ্কার। মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় ছিল না। তবে বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, বিমানটি আচমকা একটি বিপদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দেখে পাইলট অত্যন্ত দ্রুততায় উচ্চতা প্রায় পাঁচ হাজার ফুট নামিয়ে দেন। তাতেই প্রবল ঝাঁকুনি ও উথালপাথাল। বিমানের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও তার সহযাত্রীরা অবশ্য জানতে পেরেছিলেন, তাদের বিমানের সামনে অন্য একটি বড় বিমান এসে পড়ে। সেটিই হল বিপত্তির কারণ।
এদিকে নবান্ন সূত্র জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে এবং কেন হয়েছে তা জানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যদি তার বিমানের সামনে অন্য কোনো বিমান এসেই থাকে, তাহলে বিষয়টি যথেষ্ট গুরুতর বলে নবান্নের একটি সূত্র জানিয়েছে। আর যদি বিপত্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের উচ্চতা আচমকা কমিয়ে দিতে হয়, তাহলেও তার সব খুঁটিনাটি জানার উদ্যোগ নেয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
সাধারণত এই ধরনের অভিযোগ উঠলে দেশের আকাশের বিমান চলাচলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) তদন্ত করে। সে ক্ষেত্রে বিমান মাটি ছোঁয়ার পরে পাইলট লিখিত যে রিপোর্ট জমা দেন তা গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে গণ্য করা হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, এ দিনও পাইলট রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম আকাশে যখন সাত হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ছ’হাজার ফুটে নামছিলেন, আচমকাই সামনে বিপদজনক মেঘ দেখতে পান। সে কথা তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে জানান। এটিসি তাকে দু’হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসতে বলে। তিনি সেই মতো নেমে আসেন। বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, পাইলটের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্তে নামবে ডিজিসিএ। তবে পাইলটের রিপোর্টে দ্বিতীয় কোনও বিমানের অস্তিত্ব ছিল কি না, তা জানা যায়নি।
সোনালী/জেআর