ঢাকা | মে ৩, ২০২৪ - ২:৩৫ অপরাহ্ন

শিক্ষার্থীদের ঘাটতি যেখানে, সেখানে নজর দেব বেশি: শিক্ষামন্ত্রী

  • আপডেট: Wednesday, March 2, 2022 - 7:29 am

অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘গত দুই বছর তাদের পড়াশোনায় অনেক বিঘ্ন ঘটেছে। অনেকে পারিবারিক-সামাজিক এক ধরনের ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। তাদের যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেখানে নজর দেব বেশি।’

বুধবার ঢাকা কলেজে নতুন শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিরতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গত দুই বছরের সব ঘাটতি হয়ত একসঙ্গে পূরণ করতে পারব না। কিন্তু আমরা আশা করছি এই শিক্ষাবর্ষ এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে যেখানে যতটুকু ঘাটতি রয়েছে, সেগুলো পূরণ করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‌‘আজ থেকে প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হল। আমাদের মাধ্যমিকেও শিগগিরই স্বাভাবিক জায়গায় চলে যাবার চেষ্টা করব।’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে, তারা যে বিষয় পড়বে, সেখানে আগের ক্লাসের পড়ায় যদি ঘাটতি থাকে- সেটার প্রাথমিক একটা অ্যাসেসমেন্ট করে যদি ক্লাস করিয়ে নিতে পারে, তাহলে সেটা শিক্ষার্থীরা পুষিয়ে নিতে পারবে।’

উচ্চ মাধ্যমিকের সব শিক্ষার্থীর এখনও বই না পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময় কাগজ নিয়ে অনেক সময় সমস্যা হয়েছে, টেন্ডার প্রক্রিয়ার কিছু সমস্যা হয়েছে। তারপরেও আমরা চেষ্টা করেছি। আশা করি দ্রুতই শিক্ষার্থীরা বই পেয়ে যাবে।’

এদিকে ওমিক্রনের দাপটে এক মাস বন্ধ রাখার পর ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ক্লাস শুরু হয়েছিল। ছয় সপ্তাহ পর বুধবার ক্লাসে ফিরল প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও।

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, দুই শিফটে প্রতিদিন সব বিষয়ের ক্লাস করবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।

মাধ্যমিকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করলেও সব বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে না তাদের। এসএসসি পরীক্ষার্থী চারটি এবং দশমে তিনটি বিষয়ে ক্লাস হচ্ছে।

সোনালী/জেআর