জেলা পরিষদে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা
স্টাফ রিপোর্টার: মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজশাহী জেলা পরিষদে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে রাজশাহী জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
স্মুতিচারণ ও আলোচনা সভার সঞ্চালক জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা রেজা হাসান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ও তার যে গুরুত্ব এ গুরুত্বকে ভিত্তি করে দেশ আজ যে ভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা আপনারা সবাই জানেন। আজ আমরা এই অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ থেকে আরো অনেক কিছু শুনবো ও জানবো। আমি মনে করি আজকের এই অনুষ্ঠান থেকে উপস্থিত তরুন প্রজন্ম আরো অনেক কিছু জানাতে পারবে বলে আমি মনে করি।
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধকালীন তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি একাত্তরের স্বাধীনতার যুদ্ধে ভরতে শেখ জামালের সাথে একই ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহন বর্ণনা করেন। তিনি উপস্থিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন রাজশাহী কি ভাবে পাক সেনাবাহিনী হাতে মুক্তি লাভ করে।
অনুষ্ঠানের অপর বিশেষ অতিথি সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এই স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, অতিতে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধদের আমি রিক্সা চালাতে দেখেছি। আজ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শাসন আমলে পিতার অদর্শ বাস্তবায়ন করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করে সন্মানিত করেছেন এবং মৃত্যুর পর তাদের রাষ্ট্রিয় মর্যদার দাফনের বিধান এনেছেন। তিনি আরো বলেন, আজ আমরা যদি আমাদের শিশুদের বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী ও যুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত বই গুলি আমাদের শিশুদের বেশী বেশী করে পড়ার সুযোগ করি, তাহলে এ প্রজন্মে সন্তানরা মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা আরো জানতে পারবে।
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা পরিষধ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার তার বক্তব্যে বলেন, মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। তারা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশে ও এদেশে মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমি আজ ঐ মানুষকে স্মরণ করি, যার এক ডাকে এদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু না থাকলে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা আজও পাকিস্থানের গোলাম হয়ে থাকতাম। পরিশেষে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য কৃষ্ণা দেবী, জয় জয়ন্তী সরকার, কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন, পরিষদের উচ্চমান সহকারী মোঃ আউব আলী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজশাহী জেলা ইউনিটের পক্ষ থেকে যুব প্রধান সাদিয়া সাবা অর্চি। স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মাশুক-ই-মোহাম্মদ, প্রধান হিসাবরক্ষক আবদুল মান্নান সহ কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ।