ঢাকা | জানুয়ারী ১, ২০২৬ - ৩:৩২ পূর্বাহ্ন

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে রাজশাহী

  • আপডেট: Wednesday, December 31, 2025 - 11:32 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

গতকাল বুধবার রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিন দিন ধরে পদ্মা পাড়ের এই জেলায় সূর্যের দেখা না থাকলেও গতকাল দুপুরে উকি দিয়েছে সুর্য। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের দাপট।

এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষগুলোকে চরম কষ্টে রাত কাটাতে হচ্ছে। কেউ কেউ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গতকাল সকালে নগরীতে রিকশাচালক আমির আলী বলেন, হুহু করে ঠান্ডা বাতাস বইছে। শরীর কাঁপছে। খুব কষ্টে দিন কাটছে এখন।

নগরীর ভদ্রা বস্তি এলাকার বৃদ্ধা আমেনা বেগম জানান, গায়ে দেয়ার মতো শীতের কাপড় নেই। আগে কেউ কেউ কম্বল দিত, কিন্তু এবার কেউ আসেনি। এই শীতে টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। শীতের প্রভাবে সন্ধ্যা নামার পরপরই নগরী ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বিকেলের পর থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ দোকানপাট।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার তুলনামূলক বেশি।

এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাত সোয়া তিনটার দিক থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। ভোরের পর থেকে কুয়াশার আধিক্য দেখা যায়। কুয়াশার কারণে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো অনুভূতি হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন বিরাজ করতে পারে।

এদিকে রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানিয়েছেন, ৫০ লাখ কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছিল, এরমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কম্বল পাওয়া গেছে। এসব কম্বল বিভিন্ন উপজেলায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।