ঢাকা | ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ - ১০:২৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

বাঘায় গৃহবধু হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট: Thursday, December 18, 2025 - 12:23 am

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় গৃহবধূ মনিষা খাতুন হত্যার বিচার এবং আসামী গ্রেপ্তারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিতা-মাতা ও মামা। ঘটনার দুই মাস পর গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাঘা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মনিষার বাবা মুনসাদ আলী অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন অটোচালক। গত ২০ অক্টবর রাতে আমার মেয়ে হত্যা করেছে খবর পেয়ে আমি ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরি। এরপর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে অবস্থিত আমার মেয়ে-জামাতার বাড়ি যায়। সেখানে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের মরাদেহ ঘরের বারান্দায় শোয়ানো রয়েছে।

এসময় আমি আমার মেয়ের মুখমন্ডল, শরীর এবং গলায় আঘাত এর চিহৃ পাই। তবে মেয়ের স্বামী আজাদ আলী ও শাশুড়ি শরিফা বেগম বাড়ি না থাকার কারনে আমার সন্দেহ হয়, ওরা আমার মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর পালিয়েছে। এ ঘটনা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

এ ঘটনার পর আমার মেয়ের লাশ সন্ধ্যায় দাফন শেষে পরদিন সকালে থানায় গিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে চাই। তখন পুলিশ আমাকে হত্যার প্ররোচণা হিসাবে অভিযোগ দিতে বলেন। এবং জানান, পোস্টমর্টেম রিপোট এলে তখন মামলা নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মৃত গৃহবধুর পিতা কান্না করতে-করতে আরো বলেন, আমার জামাই পরকিয়ায় লিপ্ত ছিলো। মাঝে মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সে আমার মেয়েকে মারধর করতো এবং যৌতুক চাইতো। আমি মেয়ের সুখের জন্য নিরুপাই হয়ে বুরো বাংলাদেশ নামক একটি এনজিও থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ তুলে জামাই এবং তার মায়ের হাতে দিয়েছি। এ ঘটনার কয়েক মাস পর সে আবারও আমার মেয়ের কাছে যৌতুক চাই। তখন আমার মেয়ে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে নির্যাতন করে বলে আমাকে জানায়। এর কয়েকদিন পর আমি আমার মেয়ের হত্যার খবর পাই।

এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গৃহবধুর পিতা মুনসাদ আলী, মাতা রুবিনা বেগম এবং গৃহবধুর মামা সাদ্দাম হোসেন। তাঁরা স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের লেখনীর মাধ্যমে অবিলম্মে পলাতক দুই আসামীকে গ্রেপ্তারসহ ন্যায় বিচারের দাবি জানান। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মহিদুল ইসলাম বলেন, এই অভিযোগটি যে কর্মকর্তার কাছে ছিলো, তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন। সম্প্রতি আমার কাছে এসছে। আমি তদন্ত করছি। মা-ছেলে দুই আসামী-পলাতক রয়েছে। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে