ঢাকা | ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ - ৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫ জনকে পুশইন

  • আপডেট: Monday, December 15, 2025 - 12:25 am

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যুরো: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল রোববার ভোর পৌনে চারটার সময় তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

১৬ বিজিবির বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ।

পুশইনের শিকার হচ্ছেন- খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার কুলোটিয়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে নজরুল (৪৭), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৪০), একই জেলার তেরখাদা থানার কেটলা গ্রামের অমিয়ার মোল্লার স্ত্রী রুনা (৩৬) ও রবিউল মোল্লার স্ত্রী বিথি খাতুন (২৩), যশোর জেলার অভয়নগর থানার ইছামতি গ্রামের আলিম মোল্লার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪০), একই থানার নাওলী গ্রামের ওসমান আলী স্ত্রী পারভিন (৪৮), যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার বাকড়া গ্রামের মৃত ইয়াম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেক (৫৫) ও মনিরুল শেখের মেয়ে রিয়ামনি (১২), একই জেলার সারসা থানার বারন্দীপাড়া মনিরুল শেখের মেয়ে নাছিম (৩৮), একই জেলার বেনাপোল থানার শাখারীপোতা গ্রামের শহীদ ব্যাপারীর মেয়ে ফরিদা বেগম (৪০), নড়াইল জেলার কালিয়া থানার রাজাপুর গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী জরিনা খাতুন (২৩), ইমরান হোসেনের ছেলে রাকিব (৩০), ঢাকা জেলার শাহ আলী থানার নিউ সি ব্লক-৭ মহল্লার আমজাদ পালোয়ানের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (৪০), মানিকগঞ্জ সিংরইল থানার মাধবপুর গ্রামের আখের ফকিরের ছেলে আলমাস আহম্মেদ (৩৬) ও সাতক্ষীরা জেলার কলরোয়া থানার হলুলিয়া গ্রামের জিহাদ সরদারের ছেলে অহিদ সরকার।

নায়েক সুবেদার বলেন, গোমস্তাপুর থানাধীন রাধানগর ইউনিয়নের ১৬ বিজিবির অধিনস্থ বিভিষন বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত পিলার ২১৯/৭১ আর হতে আনুমানিক ১ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটি নামক স্থান হতে ভোর পৌনে চারটার সময় ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এসময় তাঁদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। পরে তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক বলেন, পুশ-ইনের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকেরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।