ঢাকা | ডিসেম্বর ২, ২০২৫ - ৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

নির্যাতনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মানববন্ধন

  • আপডেট: Tuesday, December 2, 2025 - 12:10 am

স্টাফ রিপোর্টার: নেশা করে জুয়ার টাকার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার নাম সোহেল রানা (৪৫)। তিনি রাজশাহীর একটি আদালতের অফিস সহায়ক। নির্যাতন সইতে না পেরে তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন (২৭) কিছু দিন ধরে আলাদা থাকছেন।

এখন পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দিচ্ছেন সোহেল। সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এমনই অভিযোগ তুলে ধরেছেন ভুক্তভোগী খাদিজা খাতুন।

তার সঙ্গে ছিলেন মা রাহেলা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, জামাতা সোহেল রানার হাতে তিনি নিজেও দুবার আহত হয়েছেন। সোহেলের হাত থেকে মেয়ে খাদিজাকে রক্ষা করতে গেলে একবার হাত ভাঙে তার। আরেকবার মাথায় জখম হয়ে সেলাই লাগে ১০টি। মামলা, থানা-পুলিশে অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না বলে দাবি তাদের।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খাদিজা বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বিয়ানাবোনা গ্রামে। আর সোহেল রানার বাড়ি তানোরের মুন্ডুমালা। ২০১৯ সালের ৪ মে তাদের বিয়ে হয়। তার দুটি মেয়ে আছে। একটির বয়স ৫ বছর, অন্যটির বয়স ২ বছর। বিয়ের পর থেকেই সোহেল রানা যৌতুকের টাকার জন্য শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতেন। অতিষ্ঠ হয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে খাদিজা তাকে তালাক দেন। পরবর্তীতে সোহেল ভুল স্বীকার করে ২০২২ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি আবার বিয়ে করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল রানা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি মাদকসেবন করি না, জুয়াও খেলি না। বরং, আমার স্ত্রী মাদকের ব্যবসা করে। মাদকসহ ধরা পড়ে তার বিরুদ্ধে মামলাও আছে। আমার দুইটা সন্তান আছে, সংসার টেকানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। স্ত্রী আমাকে নানাভাবে হয়রানি করছে।’

মাদকের মামলার বিষয়ে খাদিজা খাতুনের দাবি, স্বামী সোহেল রানা তাকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার স্বামী সোহেল রানা।