চারঘাটে মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগাতে ব্যস্ত কৃষকরা
মোজাম্মেল হক, চারঘাট থেকে: রাজশাহীর চারঘাটে শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মাঠজুড়ে সবুজ পেঁয়াজ গাছের সমারোহে চারদিকে যেন সবুজের উৎসব। ঢ্যামনা বা মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষিরা বর্তমানে পরিচর্যায় ব্যস্ত।
জমিতে আগাছা দমন, সেচ দেয়া এবং রোগবালাই থেকে ফসল রক্ষা করার মতো কাজে কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গত মৌসুমে ভালো দাম পাওয়ায় অনেক কৃষক এবার বেশি জমিতে এই পেঁয়াজ চাষ করেছেন। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে চাষিরা মাঠে হাজির হচ্ছেন মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণ করতে।
এক দিকে কৃষকরা আমন ধান কেটে ঘরে তুলছে অন্য দিকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে জমি তৈরি করে পেঁয়াজ রোপণ করছে। কেউ মুড়িকাটা পেঁয়াজের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন, কেউ সেচ দিচ্ছেন। যারা আগেভাগে আবাদ করেছিলেন তারা চারা গাছের পরিচর্যা করছেন। কেউবা আগাছা পরিষ্কার ও চারায় কীটনাশক দিচ্ছেন।
সরদহ ইউনিয়নের ঝিকরা গ্রামের কৃষক সুমন জোয়াদ্দার বলেন, আমের বাগান কেটে সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগিয়েছি। এখন নিয়মিত সেচ ও আগাছা দমন করছি। আল্লাহ চাইলে ফলন ভালো হবে। একই এলাকার কৃষক আশরাফুল সরকার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার পেঁয়াজের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি।
ভাটপাড়া গ্রামের রুবেল আলী বলেন, পেঁয়াজ লাগানো শেষ করেছি। এখন সেচের মাধ্যমে পানি দিচ্ছি। কামলা, সার আর সেচের জন্য বেশ ভালই খরচ হবে। তবে ফলনের পাশাপাশি দামটা ভাল পেলে লাভবান হতে পারব। চারঘাট বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আফজাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পেঁয়াজের বর্তমান পাইকারি মূল্য ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। যা বাজারে খুচরা মূল্যে ১ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মামুন হাসান বলেন, চলতি বছরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ হেক্টর জমি। মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রতি বছরই পেঁয়াজ আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণের ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাত করা যায় বলে তিনি জানান।








