পাত্রকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে কিশোরীকে ইউপি সদস্যের বিয়ের চেষ্টা!
স্টাফ রিপোর্টার: এক কিশোরীকে বিয়ের জন্য পরিবারে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য প্রদীপ এক্কা। কিন্তু ওই কিশোরীর পরিবার তার বিয়ে ঠিক করেছে অন্য প্রেম কুমার মিনজ (২২) নামের এক যুবকের সাথে।
আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হবু বর প্রেম কুমারকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন ইউপি সদস্য প্রদীপ এক্কা। প্রেমকে জেলে পাঠিয়ে কিশোরীকে বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। আর তাই মিলটন খন্দকার (২১) নামের এক যুবককে ৯ বোতল ফেনসিডিল ও ১০০ গ্রাম হেরোইন রেখে আসতে পাঠিয়েছিলেন প্রেম কুমারের বাড়িতে। তবে প্রেম কুমারের বাড়ির পাশ থেকে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল মিলটনকেই গ্রেপ্তার করেছে।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিলটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিলটনের বাড়ি দেওপাড়া ইউনিয়নের ভিকারপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মিনারুল ইসলাম। ইউপি সদস্য প্রদীপ এক্কাও এই গ্রামের বাসিন্দা। আর প্রেম কুমারের বাড়ি মাটিকাটা ইউনিয়নের চৌদুয়ার গ্রামে। প্রেম কুমার, প্রদীপ এক্কা, ওই কিশোরী এবং গ্রেপ্তার মিলটন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম শুক্রবার জানান, গ্রেপ্তার মিলটন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে, তিনি ইউপি সদস্য প্রদীপ এক্কার কথামত প্রেম কুমারের বাড়িতে মাদক ফেলে আসতে গিয়েছিলেন। তাই এ ব্যাপারে মিলটন ও ইউপি সদস্য প্রদীপ এক্কার বিরুদ্ধেই গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন ইউপি সদস্য প্রদীপ এক্কা। কথা বলার জন্য শুক্রবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, ‘যে ছেলেটিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল তার সঙ্গে এক কিশোরীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। আর প্রদীপ এক্কা অবিবাহিত হওয়ায় সেও তাকে বিয়ের চেষ্টা করছিল। এ রকম কথাবার্তা মুখে মুখে শুনেছি। ঘটনাটি যদি সত্যি হয় তবে তা খুবই ন্যাক্কারজনক। একজন জনপ্রতিনিধির কাছে এটা আশা করা যায় না। মামলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’