দেশের ৪০ শতাংশ মাছের চাহিদা পুরন করে রাজশাহী: মৎস্য উপদেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশের ৪০ শতাংশ মাছের চাহিদা পুরনো করে রাজশাহীর ৬০০ মৎস্য চাষি। মাছ চাষীদের যে সকল সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। নিরাপদ মাছের ফিড ও ওষুধ সরবরাহ করতে বাজারে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। নিরাপদ ফিড ও ওষুধ না পেলে যে মাছ চাষ হবে সেটা মানুষ খেলে তাতে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি হবে। আমরা চাই না এমন ফিড বাজারে আসুক। এক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানো হবে।
শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল ফিশারিজ সামিট এন্ড এক্সপো – ২০২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মৎস্য ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারীদের পদক প্রদান করা হয়।
মাছ রপ্তানীর সুযোগ তৈরি ওপর জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে কাজেই আমাদেরকে শিখতে হবে মাছকে কিভাবে শীতল পরিবেশে রাখতে হবে। আমাদের কাছে এখন অনেক আধুনিক প্রযুক্তি আছে। কার্প জাতীয় মাছ তেমন রপ্তানি হচ্ছে না। এটাকে বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। কৃষি জমি রক্ষার জন্য ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার করেছে সরকার। সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে মাছ চাষকেও কৃষিকাজ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। তবে যেখানে ধান চাষ হয় বা খাদ্য উৎপাদন হয় সেখানে পুকুর না করে যে জমিতে খাদ্য উৎপাদন করা যাচ্ছে না সেখানে যেন মাছ চাষ করা হয়।
ফিশারিজ বিভাগ ও বাণিজ্যিক মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি যৌথভাবে দিনব্যাপী এ আয়োজন করে। টেকসই মৎস্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে অংশীজনদের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগ স্থাপনই এ অনুষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান মণ্ডল। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।











