ঢাকা | নভেম্বর ১৩, ২০২৫ - ১:৪৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

ভুয়া সনদকে সঠিক প্রত্যয়ন করিয়েও লাইসেন্স হারালেন দলিল লেখক শাহীন

  • আপডেট: Wednesday, November 12, 2025 - 10:40 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে ভুয়া শিক্ষা সনদকে সঠিক বলে প্রত্যায়ন করানোর পরেও শেষ রক্ষা পেলেন না পবার দলিল লেখক শাহীন আলী। ইতিমধ্যেই তার দলিল লেখার লাইসেন্সটি বাতিল করেছে রাজশাহীর জেলা রেজিস্ট্রার অফিস। জেলা রেজিষ্ট্রার আব্দুর রকিব সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভুয়া সনদধারী দলিল লেখক শাহিন আলীর সনদ নম্বর ছিল ১০৮।

সম্প্রতি রাজশাহীর পবা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দলিল লেখক হিসেবে নিবন্ধিত হতে এসএসসির একটি সনদপত্র জমা দেন শাহীন আলী। তিনি যে সনদটি জমা দিয়েছেন, সেটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের। শাহীনের জমাকৃত সনদটি জাল হিসেবে সন্দেহ হওয়ায় পবা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে সেটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়। প্রথম দফায় বোর্ডের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে সনদটি ‘সঠিক’ বলে প্রত্যয়ন দেয়া হয়।

শিক্ষা বোর্ডের তিন কর্মকর্তা- রেকর্ড শাখার আলমগীর হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারজানা লতা ও মিন্টু ভুয়া ওই সনদটিকে ‘সঠিক’ বলে প্রত্যয়ন করেন। তবে শাহীন আলীর এক সহপাঠী তার এসএসসি পাস নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই আবারও শুরু হয় অনুসন্ধান। পরে পবা সাব-রেজিস্ট্রার নিজেই শিক্ষা বোর্ডে হাজির হয়ে আবারও সনদটি যাচাইয়ের অনুরোধ জানান। এবার ডেপুটি কন্ট্রোলার (এসএসসি) মুনজুর রহমান খান শাহীনের সনদটি যাচাই শেষে প্রত্যয়ন দেন তার সনদটি ভুয়া।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের রেকর্ড শাখার কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ভুলবশত প্রত্যয়নটি দেয়া হয়েছিল। পরে আমরাই বুঝতে পারি সনদটি ভুয়া। ডেপুটি কন্ট্রোলার মুনজুর রহমান খান জানান, সনদটি ভুয়া। প্রথমে রেকর্ড শাখার মিন্টু নামের এক কর্মচারীর ভুলে এমন হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে বোর্ড তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

পরে তার (দলিল লেখক শাহীন) সনদটি ভুয়া হিসেবে প্রত্যায়ন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পবা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে গতকাল শাহীনের লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুর রকিব সিদ্দিক বলেন, শাহীন আলীর বিরুদ্ধে নানা প্রকার অনৈতিক কার্যক্রমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার শিক্ষা সনদের বিষয়ে সন্দেহ হলে সেটা যাচাই-বাছাই করার জন্য পবা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার নিজেই শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে দেখেন, শিক্ষা সনদটি ভুয়া। বোর্ডের সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ সনদটি ভুয়া বলে প্রত্যয়ন প্রদান করলে সেই প্রেক্ষিতে পবা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তারই প্রেক্ষিতে পবা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক শাহীন আলী, সনদ নং-১০৮ এর দলিল লেখার সনদ অফিসিয়ালি বাতিল করে আদেশ জারি করা হয়েছে।