ঢাকা | নভেম্বর ১২, ২০২৫ - ৩:১১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

মিনু-মিলনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার প্রত্যয় বিএনপি’র

  • আপডেট: Tuesday, November 11, 2025 - 11:22 pm

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সারাদেশে ২৩৭ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছেন।

এর মধ্যে রাজশাহী সদরে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক রাসিক মেয়র ও সংসদ মিজানুর রহমান মিনু ও রাজশাহী-৩ পবা-মোহনপুর আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

তাঁদের উভয়কে মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে রাজশাহী মহানগরের বর্তমান ও সাবেক বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং পবা-মোহনপুরের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার বিকেলে এ আনন্দ মিছিল নগরীর বাটার মোড় থেকে শুরু হয়। মিছিল নিয়ে নেতৃবৃন্দ মালোপাড়া, সোনাদিঘীর মোড়, মনি চত্বর দিয়ে সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট ঘুরে গণকপাড়া হয়ে পুনরায় বাটার মোড়ে এসে শেষ করেন। এ সময় রাজশাহী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজশাহী-৩ আসনে জনপ্রিয় নেতা অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় কিছু ব্যক্তি ঘৃন্য রাজনীতি শুরু করেছে। মিলন হচ্ছে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, যুবদলের সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও বিএনপি তিনবারের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক। তিনি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করে আসছেন। এই জনপ্রিয় নেতাকে নিয়ে এবং তারেক রহমানকে নিয়ে নানা ধরনের বাজে মন্তব্য ও কটুক্তি করা হচ্ছে।

তারা বলেন, শফিকুল হক মিলন যেমন রাজশাহী মহানগরের জনপ্রিয়, তেমনি পবা-মোহনপুরবাসীর নয়নের মনি। তিনি তাঁর সংসদীয় এলাকার সকলকেই চেনেন এবং জানেন। তাঁকে নিয়ে যেকোন ধরনের মন্তব্য রাজশাহী মহানগর ও পবা-মোহনপুরবাসী বরদাস্ত করবে না। এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে বলে জানান তারা। বক্তার আরো বলেন, যে ব্যক্তি এগুলো করছে, তাকে কেউ মহানগর এবং পবা-মোহনপুরে চেনে না। তিনি তাঁর বাবার পরিচয়ে এমপি, মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এই স্বপ্ন দেখা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। যারা রাজশাহীর রাজনীতিতে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা।

বক্তারা আরো বলেন, মিজানুর রহমান মিনু দীর্ঘ সতের বছর সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মেয়র ছিলেন। তিনি রাজশাহীর উন্নয়নের একমাত্র রুপকার। তিনি রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, স্টেশনসহ এমন কিছু নাই প্রতিষ্ঠা করেননি। তাঁকে নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর কিছু নেতা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করছে। শুধু মন্তব্যই নয় ষড়যন্ত্রও শুরু করেছে। যারা এগুলো করছে তারা কেন্দ্রের একজন নেতার নির্দেশে করছে। এগুলো পরিহার করার কথা বলেন, না হলে হাটে হাড়ি ভেঙে দেবেন উল্লেখ করে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তার বিরোধীতা করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তারা। সেই সাথে প্রতিটি আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান বক্তারা।

সমাবেশে মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনসার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খাজদার আলী, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, মাহনগর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী শহিদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা প্রমুখ।