ঢাকা | নভেম্বর ৭, ২০২৫ - ৩:২৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

অসময়ের বৃষ্টি: রাজশাহীতে ২ হাজার বিঘার ফসলের ক্ষতি ১০ কোটি টাকা

  • আপডেট: Thursday, November 6, 2025 - 11:59 pm

স্টাফ রিপোর্টার: অসময়ের রেকর্ড বৃষ্টিপাতে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ২ হাজার ১৫০ বিঘা জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে টাকার অংকে ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, নভেম্বরে অসময়ের দুই দিনের বৃষ্টিতে জেলার ৪ হাজার ২০০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত থেকে শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলায় প্রায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এই দুই দিনে বৃষ্টিতে জেলার ২ হাজার ১৫০ বিঘা ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- পানবরজে ২৮০ লাখ টাকা, শাকসবজিতে ২৬৭ লাখ টাকা, রোপা আমনে ১১৬ লাখ টাকা, পেঁয়াজে ১২৭ লাখ টাকা, সরিষাতে ১৮৫ লাখ টাকা।

কৃষিবিভাগ জানায়, বরেন্দ্র অঞ্চলে সাধারনত এই সময় তেমন বৃষ্টি হয়না। কিন্তু এবার গত দুই দিনে এই অঞ্চলে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হয়েছে। ১ নভেম্বর তানোর উপজেলায় ২১২ মিলিমিটার, গোদাগাড়ি উপজেলায় ১৪৫ মিলিমিটার, বাগমারা উপজেলায় ১১৯ মিলিমিটার ও দুর্গাপুর উপজেলায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। একসাথে এতো বৃষ্টি এই অঞ্চলে এর আগে হয়নি।

ফলে পানি নিস্কাশনের শুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বিভিন্ন ফসল ও বাড়িঘরের ক্ষতি হয়। তানোরের মুন্ডুমালা এলাকার কৃষক আরমান বলেন, গত ৪০ বছরের মধ্যে একদিনে এতোবৃষ্টি তিনি দেখেননি। এই বৃষ্টিতে তার ৫ বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে ক্ষতি হয়েছে।

নভেম্বরের বৃষ্টি ফসলের জন্য কতটা ক্ষতি করেছে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, নিম্নচাপের কারণে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। নভেম্বরে এমন বৃষ্টি অপ্রত্যাশিত। ইতিমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকেরা ধান শুকাতে সমস্যায় পড়বেন। যাঁরা কাটতে পারেননি, তাঁদের জমিতে পানি ওঠায় ধানের ক্ষতি বেশি হয়েছে।

রবি ফসলের ক্ষেত্রে ভুট্টা, ডাল-জাতীয় শস্য ও আলু লাগানো দেরি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, জেলার প্রায় ৪ হাজার ২০০ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের চূড়ান্ত তালিকা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরবর্তী সবজি চাষে প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে সার-বীজ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।