ঢাকা | অক্টোবর ১৯, ২০২৫ - ৫:৫৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম

নিয়ামতপুরে আদিবাসী স্কুলে কোন শিক্ষার্থীই পাস করেনি

  • আপডেট: Friday, October 17, 2025 - 9:39 pm

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: এবারের এইচএসসি ফলাফলে নিয়ামতপুর উপজেলার সাংশৈল আদিবাসী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২২ জন পরীক্ষার্থীর কেউই পাস করতে পারেনি। এমন ফলাফলে হতবাক সবাই। ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটির সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এবার বিগত বছরের তুলনায় নিয়ামতপুরের ফলাফল হতাশাজনক। কমেছে পাস ও জিপিএ-৫-এর সংখ্যা। উপজেলার সব কলেজেই ফলাফল খারাপ হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক অফিস হতে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, উপজেলায় এবার এইচএসসিতে পাসের হার ৫৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

যা গতবছর ছিল ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন। যা গতবছর ছিল ১৩২ জন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৫৮৩ জন। ফেল করেছে ৫০৭ জন। ৮ টি কলেজের মধ্যে ৫ টি কলেজে পাসের চাইতে ফেলের হার বেশি।

রাজাপুর বটতলী হাট মহাবিদ্যালয়ে ২১ জনে ১৮ জন ফেল। গাংগোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ জন পরীক্ষার্থীর ৮ জনই ফেল করেছে। বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজে ১০২ জনের মধ্যে ৬৫ জন ফেল। বামইন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৭৫ জনের মধ্যে ফেল করেছে ৪৩ জন। উপজেলায় একমাত্র সরকারি কলেজ নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ৬৯৭ জন অংশগ্রহণ করে ৬৮৯ জন। পাস করেছে ৩৮৭ জন আর ফেল করেছে ৩০২ জন।

কলেজটির বাণিজ্য বিভাগে ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ জনই ফেল করেছে। বিজ্ঞান বিভাগে পাস ১৪৭ জন, ফেল ৭৯ জন। মানবিক বিভাগে পাস ২৩৮ জন, ফেল ২০০ জন। তবে সবচেয়ে বেশি ২০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠান থেকে।

অন্যদিকে উপজেলায় পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে চন্দননগর কলেজ। পাসের হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। কলেজটিতে ১২৯ জনে পাস করেছে ৯৩ জন, ফেল করেছে ৩৬ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে চারজন। নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ওবাইদুল হক চৌধুরী বলেন, কলেজে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। এই শিক্ষক সংকটের মধ্যেও ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

এরপরও শিক্ষার্থীরা ক্লাসবিমুখ হয়েছে। তাঁদের ক্লাসমুখী করতে অভিভাবকদের বিষয়টি জানিয়েও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, আমার কলেজের সব শিক্ষকেরা সর্বোচ্চটা দিয়ে শিক্ষার্থীদের শেখানোর চেষ্টা করি। এরপরও আশানুরূপ ফলাফল পায়নি। ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ নির্ণয় করে আগামীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।