ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫ - ২:০১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বর্তমান প্রজন্মের জন্য আহছানউল্লা অনন্য প্রেরণা

  • আপডেট: Thursday, September 18, 2025 - 10:39 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রথম মুসলিম প্রধান শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক খান বাহাদুর আহছানউল্লা (র.)-এর স্মরণে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের সভাকক্ষে আয়োজিত এ সেমিনারে বক্তারা বলেন,“বর্তমান প্রজন্মের জন্য আহছানউল্লা এক অনন্য প্রেরণার উৎস।” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আহ্ছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শহীদুল ইসলাম।

এসময় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. নুরজাহান বেগম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহ মখদুম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. তসিকুল ইসলাম রাজা, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. নজরুল ইসলাম এবং পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা।

সিনিয়র শিক্ষক এমরান আলীর স্বাগত বক্তব্যের পর সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. একরাম হোসেন। এছাড়া আলোচনা করেন খানবাহাদুর আহছানউল্লা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এএফএম এনামুল হক, রাজশাহী শাখার পরিচালক মনিরুল ইসলাম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মজিবর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন শিক্ষাবিদ, গবেষক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, “খান বাহাদুর আহছানউল্লা শুধু একজন শিক্ষাবিদ নন, তিনি ছিলেন শিক্ষা-সংস্কারের অগ্রদূত। তাঁর কর্ম ও চিন্তা আজও আমাদের সমাজকে আলোকিত করে যাচ্ছে।”

বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদানের কারণে ১৯১১ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘খান বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

তাঁর প্রতিষ্ঠিত নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন বর্তমানে দেশে-বিদেশে তিন শতাধিক শাখার মাধ্যমে শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ১৮৭৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার নলতা গ্রামে জন্ম নেয়া আহছানউল্লা ১৮৯৬ সালে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। দীর্ঘ কর্মময় জীবনের শেষে ১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।