ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ - ২:০৩ পূর্বাহ্ন

ভাগ্য ফিরছে পদ্মাপাড়ের চাষিদের

  • আপডেট: Saturday, September 13, 2025 - 10:21 pm

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: ঈশ্বরদীর পদ্মার চরে প্রতিদিন লাখ-লাখ টাকার ধনেপাতা উত্তোলন হচ্ছে। আগাম ধনেপাতা চাষে ভাগ্য ফিরছে পদ্মা পাড়ের চাষিদের। এই এলাকার ধনেপাতার মান ও ঘ্রাণ ভালো হওয়ায় এটি স্থানীয় চাঞ্চল্য থেকে ধনেপাতা মান অনুযায়ী প্রতিদিন ৩২০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। ঈশ্বরদীর পদ্মার চরে ৭০ হেক্টর জমিতে এবার ধনেপাতার আগাম আবাদ হয়েছে। এটি মূলত শীত মৌসুমের ফসল হলেও স্থানীয় কৃষকেরা আগাম আবাদ করছেন।

উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী প্রত্যন্ত চাঞ্চল্য চররূপপুর, দাদাপুর, বিলকেদার লক্ষ্মীকুন্ডা চরের জমিতে ব্যাপক ধনিয়া পাতার আবাদ হয়েছে। চাষিরা জমি থেকে ধনেপাতা তোলা আবার কেউ পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যস্ততা চোখে পড়ে ধনেপাতা ব্যবসায়ীদের। তারা ধনেপাতা জমি থেকে তোলার পর প্যাকেটজাত করণের জন্য ধোয়া, ঝুড়িতে সাজানো ও ট্রাকে লোড করার কাজ করছেন।

ধনেপাতা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধনিয়া মূলত মসলা জাতীয় ফসল হলেও সবজি হিসেবে এর সবুজ পাতার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। রকমারি তরকারিতে ধনেপাতা অপরিহার্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ধনেপাতা চাষ করতে সার, সেচ, কীটনাশক, শ্রমিক ও বাজারজাতকরণসহ খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমির ধনেপাতা ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ বিশ হাজার টাকায় বেচাকেনা হয়।

উপজেলার বিলকেদার গ্রামের কৃষক আওয়াল প্রামানিক বলেন, পদ্মার চরজুড়ে এবার ব্যাপক ধনেপাতার আবাদ হচ্ছে। হঠাৎ বন্যায় বেশকিছু জমির ধনিয়ার জমির ক্ষতি হয়েছে। তবুও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা বিঘাপ্রতি ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এখানে এসে জমি থেকে ধনেপাতা সংগ্রহ করে তারা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরে বাজারজাতকরণের জন্য পাঠাচ্ছে।

এখানকার ধনেপাতার গুণগত মান ও স্বাদ ভালো হওয়ায় প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা দরে স্থানীয় ভাবে বেচাকেনা হচ্ছে। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল মমিন জানান, ঈশ্বরদীর পদ্মার চরে এ বছর ৭০ হেক্টর জমিতে ধনেপাতার আবাদ হয়েছে। আগাম ধনেপাতা চাষে ভাগ্য ফিরেছে পদ্মা পাড়ের চাষিদের।

এই ধনেপাতা স্থানীয়দের চাহিদা পূরণের পর রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। এসব ধনেপাতার জমি কৃষকরা প্রতি বিঘা ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। ধনেপাতা চাষাবাদ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর নতুন নতুন চাষি ধনেপাতা আবাদে ঝুঁকছে।