দিশেহারা সাধারণ মানুষ:

লালন উদ্দীন, বাঘা থেকে: রাজশাহীর বাঘায় হঠাৎ বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে খুচরা বাজারে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৫ থেকে ৬ গুণ দাম বেড়েছে এই কাঁচা পণ্যটির। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

রোববার সকালে বাঘার হাটে ও আড়ানী বাজারে খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টির কারণে জমি থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে পারছেন না চাষিরা। এছাড়াও জমিতে পানি জমে মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। এতেই মূলত দাম বেড়েছে।

জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও বাঘার বিভিন্ন হাটবাজারে কাঁচামরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ২০  থেকে ২৫ টাকা আর খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে সেই কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা আর খুচরা বাজারে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা  কেজি দরে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।

বাঘা হাটে বাজার করতে আবুল বাশার বলেন, যে মরিচ এক সপ্তাহ আগে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি, সেই মরিচ গতকাল ২৪০ টাকা  কজি দরে কিনেতে হচ্ছে। বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, বর্ষার কারণে গাছ নষ্ট ও সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

কিন্তু এমন পরিস্থিতি তো এখনো তৈরি হয়নি যে বাজারে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়মিত বাজারে অভিযান চালানো হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।

বাঘা বাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুর রশিদ বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে এই বাজারে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। গতকাল ভোরে পৌর পাইকারি বাজার থেকে কিনতে হয়েছে ১৭৫ টাকা  কেজিতে।

সেগুলো এখন ২০০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। বৃষ্টি কমলে দাম স্বাভাবিক হবে। বাঘা উপজেলার আড়ানী গোচর গ্রামের মরিচ চাষি আবু আফজাল বলেন, এক সপ্তাহ আগেও হাটে গিয়ে মরিচ বিক্রি করতে হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। জমি থেকে মরিচ শ্রমিকদের মজুরির টাকাও উঠত না।

গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গাছের ক্ষতি হয়েছে। মরিচ তোলা যাচ্ছে না। বাঘা উপজেলা জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৫৫০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে মরিচ নষ্ট হওয়ায় দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।