ঢাকা | জুলাই ১৩, ২০২৫ - ৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

রাজশাহীতে বেড়েছে কাঁচা মরিচের ঝাল কেজি ৪শ’ টাকা 

  • আপডেট: Saturday, July 12, 2025 - 1:11 am

স্টাফ রিপোর্টার: সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীতে বেড়েছে কাঁচা মরিচের ঝাল। দাম বেড়ে প্রতি কেজি দাড়িয়েছে ৪শ’ টাকা। এই দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন বেকায়দায় ।

কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে মরিচ চাষি ও বিক্রেতারা দুষছেন, প্রতিকূল আবহাওয়াকে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ জমিতে পানি জমে থাকায় মরিচের গাছ ফোলা রোগে আক্রান্ত হয়ে গাছ ও গাছের মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া জমিতে পানি জমে থাকার ফলে, কৃষকরা তাদের জমি থেকে মরিচ উঠাতে পারছেন না।

এতে বাজারে সরবারাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। রাজশাহী মহানগরীসহ এর উপকন্ঠের বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার প্রতিকেজি কাঁচামরিচ সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১ সপ্তাহ আগে এই মরিচের কেজি ছিল ১শ’ টাকা। তার আগের সপ্তাহে প্রতিকেজি মরিচ ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বৃষ্টিতে সরবরাহ কমের কারনে দাম কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা।

আমাদের তানোর প্রতিনিধি জানান, তানোরে ৩ দিনের ব্যবধানে ৮০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৩শ’ টাকা হয়েছে। শুক্রবার তানোর গোল্লাপাড়া হাটে কাঁচা মরিচের আমদানি কম থাকায় ২শ’ ৮০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ।

৩ দিন আগে গত মঙ্গলবার এই হাটে ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে মরিচ চাষি ও বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক দিনের টানা মাঝারি ও ভারি বৃষ্টির কারনে বেশির ভাগ জমিতে পানি জমে থাকায় মরিচের গাছ ফোলা রোগে আক্রান্ত হয়ে গাছ ও গাছের মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে।

ফলে, কৃষকরা তাদের জমির মরিচের গাছ তুলে ফেলেছেন। বাজারে সরবারাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। শুক্রবার বিকালে গোল্লাপাড়া হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটে কাঁচা মরিচের আমদানি নেই বললেই চলে। দু’ একজন কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ১শ’ গ্রাম ৩০ টাকা দামে।

মরিচ বিক্রেতা তইবুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার এই হাটে কাঁচা মরিচের আমদানি (সরবরাহ) বেশি ছিলো। ১শ’ গ্রাম মরিচ বিক্রি করেছি ১০ টাকায়। ১ কেজি ৮০ টাকা। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকজন তাদের জমিতে মরিচ রোপণ করেছিলেন। টানা বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ জমিতে পানি জমে মরিচের গাছ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মরিচ নষ্ট হয়ে ঝরে পড়েছে।

এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে টানা বর্ষণে বেড়েছে সবজির দাম। তাছাড়া বৃদ্ধিপ্রাপ্ত চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল প্রতিকেজি আলু ২০ থেকে ২২, বেগুন ৭০/৮০, পটল ৩০, ঢেড়স ৩০, শশা ৫০, মিস্টি কুমড়া ৩০, প্রতিপিস লাউ ২৫ থেকে ৩০, চাল কুমড়া ৩০, পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিকে গতকাল প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০, খাসির মাংস ৯০০  থেকে ১১ শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি ছোটমাছ ৩শ’ থেকে ৪শ’, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ১৮০, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২৪০, রুই-কাতলা ৩৮০ থেকে ৪৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৭০, সোনালী ২৮০ থেকে ৩শ’, দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৫শ’ টাকায়, প্রতিহালি সাদা ডিম ৩৬ থেকে ৩৮ এবং লাল ডিম ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া গতকাল নগরীর কুমারপাড়ার চালের আড়তগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি গুটিস্বর্না ৫০, পারিজা/ লালস্বর্না ৫৮ থেকে ৬০, আটাশ নতুন ৭০, পুরাতন ৭৫, মিনিকেট নতুন ৮০, পুরাতন ৮৫, নাজির শাইল ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সাহেব বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতারা জানান, গতকাল খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গুটিস্বর্না ৫২, পারিজা/ লালস্বর্না ৬০ থেকে ৬২, আটাশ নতুন ৭২, পুরাতন ৭৭, মিনিকেট নতুন ৮২, পুরাতন ৮৭, নাজির শাইল ৯০ থেকে ৯২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।