ঢাকা | জুলাই ১৩, ২০২৫ - ৪:৫২ অপরাহ্ন

একটি রাস্তার জন্য বছরের পর বছর দুর্ভোগ

  • আপডেট: Saturday, July 5, 2025 - 11:38 pm

লালন উদ্দীন, বাঘা থেকে: কেটে গেছে বছরের পর বছর, তবু এখনও এই গ্রামের মানুষের জীবনে পৌঁছায়নি আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বস্তি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে কাঁদায় ভরে যায় গ্রামটির যাতায়াতের একমাত্র প্রধান রাস্তাটি।

হেঁটে চলাও হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। ৫০০ মিটারের এই রাস্তাটি বাঘা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াপাড়া গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, এই এলাকা ইউনিয়ন থেকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েছে, কিন্তু যাতায়াতের পাঁকা রাস্তা এখনও হয়নি।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঘা-লালপুর মহাসড়কের উত্তরে বানিয়াপাড়া গ্রামে কাসেমের বাড়ি। তার বাড়ির পূর্ব পাশ দিয়ে উত্তরে যাতায়াতের রাস্তা। সরকারি  নকশা অনুযায়ী কাসেমের বাড়ি থেকে উত্তরে নবাব আলীর বাঁশঝাড় পর্যন্ত সরকারি রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ মিটার।

রাস্তার শেষ প্রান্তে বসবাস করে ওই গ্রামের প্রায় ২০টি পরিবার। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কাঁচা রাস্তাটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি রূপ নেয় কর্দমাক্ত জলাভূমিতে।

ফলে স্কুলে যাওয়া শিশু, অসুস্থ মানুষ, এমনকি দাফনের জন্য লাশ বহনেও নাভিশ্বাস ওঠে সেখানে বসবাসকারি মানুষের। স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দীন বলেন, আগে ছিলাম ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত।

বর্তমানে বাস করছি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায়। তবুও রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্ষায় হাঁটাও যায় না, পিচলে পড়ে গিয়ে অনেকেই আহত হন। পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র, ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিদের বলেও কোন কাজ হয়নি।

একই হতাশা ব্যক্ত করে  গ্রামের ইদ্রিশ আলী ইদু বলেন, সরকার পরিবর্তন হলেও রাস্তাটির কোন সংস্কার অথবা পাঁকাকরণ হয়নি। কেউ তাদের খোঁজ নেয়নি। কতবার বলেছি, কেউ শুনেই না।

আর কতকাল দুর্ভোগ পোহাতে হবে? গ্রামের বিদ্যুত আলী বলেন, জীবনের প্রয়োজনে প্রতিদিনই তাদের এই পথ দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। অথচ বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে আছে রাস্তাটি। তাদের দাবি- গ্রামবাসীর যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি পাকাকরণ হলে ২০টি পরিবারের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঘা পৌর প্রশাসক শাম্মী আক্তার বলেন, যেহেতু আমি এ ব্যাপারে অবগত ছিলাম না। গ্রামবাসী যদি আমাকে সরাসরি জানায়, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।