বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল কারখানা পরিদর্শনে পিপিপি কর্তৃপক্ষ ও বিটিএমসি প্রতিনিধি দল

স্টাফ রিপোর্টার: পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নাধীন রাজশাহী টেক্সটাইল মিল প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন বিটিএমসি’র প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার সকালে বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানা পরিদর্শন করেছে।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম জাহিদ হাসান, বিটিএমসি’র পিপিপি প্রকল্পসমূহের প্রকল্প পরিচালক কাজী ফিরোজ হোসেন, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) টুকটুক তালুকদার, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন এবং রাজশাহীর সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদী হাসান।
এর আগে বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আনিসুর রহমান প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান।
কারখানার কার্যক্রম পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দল সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই উদ্যোগ রাজশাহী অঞ্চলের কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
স্বল্প সময়ের মধ্যে ১৮শ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তারা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে ধন্যবাদ জানায়। পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদল বিটিএমসি’র আয়োজনে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত একটি কর্মশালায় যোগ দেন।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল-এর উদ্যোগে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বন্ধ থাকা রাজশাহী টেক্সটাইল মিল নতুন রূপে ‘বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড’ হিসেবে পুনরায় চালু হচ্ছে। বিটিএমসি ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মধ্যে গত বছরের ২৭ অক্টোবর চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিসেম্বরেই প্রাণ-আরএফএল মিলটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। বর্তমানে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
প্রায় ২৬ একর আয়তনের এই কারখানাকে প্রাণ-আরএফএল পরিণত করতে চায় উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। শতভাগ রপ্তানিমুখী এ কারখানায় তৈরি করা হবে বিভিন্ন ব্যাগ, জুতা ও তৈরি পোশাক।
তাছাড়া এখানে একটি আধুনিক কল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। দুই বছরের মধ্যে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।