ঢাকা | জুন ৭, ২০২৫ - ৩:০৮ পূর্বাহ্ন

৩৫ মণ ওজনের ‘বান্টির’ দাম সাড়ে ৯ লাখ টাকা

  • আপডেট: Thursday, June 5, 2025 - 12:23 am

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৫ মণ ওজনের একটি গরু।

উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বওড়া নতুনপাড়া এলাকার কসমেটিকস ও ফুল ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন প্রায় ৩ বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের মতোই মায়া-মমতায় লালন-পালন করছেন ফ্র্রিজিয়ান জাতের গরুটি।

শান্ত স্বভাবের এ গরুর নাম মালিক শখ করে রেখেছেন ‘বান্টি’। জানা গেছে, আব্দুল মতিনের পালিত ৬ ফুট উচ্চতা, প্রস্থ ১১ ফুট, ৩৫ মণ ওজনের বান্টি নামের গরুটি উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু।

বিশাল দেহের হলেও তাকে সামলাতে কোনো রকম কষ্ট পোহাতে হয় না। কারণ লালন-পালনকারী ও মালিকের কথার বাইরে যায় না এই গরু।

বান্টিকে গমের ভূসি, ছোলার ভূসি, অ্যাংকরের ভূসি, খেসারি ভূসি, ভুট্টার ছাতু, গমের ছাতু, পায়রার ছাতু, ধান ভাঙানো গুঁড়া, চিড়া, গুড়, কলা, শাকসবজি, দেশিয় ঘাসসহ নানান প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে এবারের কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুটির দাম ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা উপহার হিসেবে থাকছে ৩৫ কেজির একটি খাসি। এমনটাই বলছেন গরুটির মালিক আব্দুল মতিন।

আব্দুল মতিন বলেন, ‘তিন বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরু লালন-পালন করছি। হজে যাওয়ার কিছু গচ্ছিত টাকা দিয়ে কিনেছিলাম গরুটি। গরুটি বিক্রি হলেই সামনে হজে যাব।

গরুটি খুবই শান্ত এবং আমরা যা বলি সেটাই শোনে, তাই শখ করে তার নাম রেখেছি ‘বান্টি’। বান্টিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিদিন তার ৯শ’ থেকে ১ হাজার টাকার খাদ্য লাগে। গরুটির পরিচর্যাকারী আব্দুল খালেক সরকার বলেন, গরুটাকে আমি নিজের সন্তানের মতো বড় করেছি।

তিন বছর ধরে প্রতিদিন নিয়ম করে খাওয়ানো, গোসল করানো, পরিচর্যা করেছি। কখনও কৃত্রিম কিছু খাওয়াইনি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, বান্টি নামের গরুটিকে আব্দুল মতিন প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে প্রস্তুত করেছেন।

তিনি সব সময় এ গরুর লালন-পালন বিষয়ে আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন। বেলকুচি উপজেলায় এটি সবচেয়ে বড় গরু, যা কোরবানির হাটে সাড়া ফেলবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS