ভারতীয় বলে দেশি গরু জব্দের প্রতিবাদে বিজিবির সামনে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে ভারতীয় বলে দেশি জাতের গরু উঠিয়ে আনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা।
বুধবার দুপুরে নগরের শালবাগান এলাকায় বিজিবি সদর দপ্তরের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পরে বিজিবির সদস্যরা তাদের সরিয়ে দিলে তারা রাস্তার অপর পাশে অবস্থান নেন। এ নিয়ে বিজিবি সদর দপ্তরে রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিজিবির সভা হয়েছে।
গরুর ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগধানী, বাগসারা ও দুয়ারী এলাকায় বিজিবি অভিযান চালিয়ে চার গাড়ি গরু জব্দ করে।
মোট ২৪টি গরু নিয়ে আনা হয় বিজিবির সদর দপ্তরে। এই খবর পেয়ে ব্যবসায়ীরা দুপুরের দিকে জড়ো হন বিজিবির সদর দপ্তরে। তাদের সঙ্গে হাটের বিভিন্ন পর্যায়ের ইজারাদার ও অন্যান্য গরু ব্যবসায়ীরাও জড়ো হন।
তারা সেখানে নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন। পরে বিজিবির সদস্যরা তাদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন। একপর্যায়ে তারা রাস্তা ছেড়ে দেন।
গরু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম সেখানে অবস্থান করছিলেন। তিনি বলেন, সকালে পবার দুয়ারী মোড় দিয়ে তানোর থেকে সিটি হাটের উদ্দেশে গরু আনছিলেন। তাদের গাড়িতে মোট আটটি গরু ছিল।
গরুগুলো তারা তানোরের বিভিন্ন গ্রামের চাষীদের থেকে কিনেছেন। সেগুলো নিয়ে চলে এসেছে বিজিবি। এগুলো দেশিয় গরু, ভারতের না।
তবে এই বিষয়ে বিজিবি আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিলেও গণমাধ্যমে পাঠানো এব বিবৃতিতে বিজিবি দাবি করেছে, চোরাকারবারীরা বিজিবির নজর এড়িয়ে ভারতীয় গরুগুলো রাজশাহী সিটি হাটে বিক্রির উদ্দেশে নিয়ে আসছিল।
তবে বিজিবির নিয়মিত টহল দলের অভিযানে এসব গরু এবং পরিবহন কাজে ব্যবহৃত নসিমন দুটি জব্দ করা হয়। পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় পরবর্তীতে রাজশাহীর সিটি হাটের ইজারাদার, কিছু গরু ব্যবসায়ী ও সন্দেহভাজন চোরাকারবারীরা বিজিবির শালবাগানস্থ মেইন গেটে উপস্থিত হয়ে গরুগুলো দেশিয় দাবি করে হস্তান্তরের দাবি জানায় এবং কিছু সময়ের জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে।
কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা তাদের শান্তভাবে এলাকা ত্যাগের অনুরোধ জানালেও তারা সেখানে অবস্থান করে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সিটি হাটের ইজারাদাররা বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ বন্ধে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের চোরাচালানবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।