নিয়ামতপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডব

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে গত শুক্রবার রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় গাছ উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ঝড়ের তিন দিন পার হলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। মোটর অকেজো হয়ে যাওয়ায় এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে গিয়ে সংগ্রহ করতে হচ্ছে পানি। কোথাও কোথাও ভ্যান কিংবা হেঁটে পানি আনতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।
নন্দিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধূ বলেন, শনিবার থেকে পানি পাচ্ছি না। রান্নাবান্না দূরের কথা, গরু-বাছুরেরও পানির কষ্ট। গ্রামের কিছু যুবক ডেকোরেটর থেকে জেনারেটর ভাড়া করে এনে সমস্যার সাময়িক সমাধান করেছে।
স্থানীয় যুবক সমিন্দ্র বলেন, আমার মা-চাচিদের কষ্ট দেখে মনে হলো কিছু করা দরকার। কালীতলা বাজার থেকে জেনারেটর এনে গ্রামের পরিবারগুলোকে ৫০ টাকা চুক্তিতে পানি সরবরাহ করছি। খরচের জন্যই এই অর্থ নিচ্ছি।
পতকৈইল মোড়ের চা-দোকানি রায়হান বলেন, পানি ছাড়া দোকান চালানো দায়। খাবার তৈরি, প্লেট ধোয়া, এমনকি পথচারীদের পানি দিতেও হিমশিম খাচ্ছি।
হাজিনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান আহমেদ হেলাল বলেন, প্রায় প্রতিটি গ্রামে একই অবস্থা—পানি ও বিদ্যুৎ নেই। সংরক্ষিত পানি শেষ। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, প্রতিটি গ্রামে অন্তত একটি করে সোলার ডিপ টিউবওয়েল বসানো হোক।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর নিয়ামতপুর শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মেশবাহুল হক বলেন, ঝড়ে আমাদের অনেক খুঁটি, তার ও মিটার নষ্ট হয়েছে। আমাদের টিম ও জয়পুরহাটের সহায়ক দল দিনরাত কাজ করছে। মেইন লাইন চালু হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা যাবে।