তানোরে প্রচণ্ড রোদে শুকিয়ে গেছে বিল কুমারী বিলের তলা

সাইদ সাজু, তানোর থেকে: রাজশাহীর তানোরে প্রচণ্ড রোদ ও খরার কবলে শুকিয়ে গেছে পুকুর, খাল ও বিলের তলা। ফলে, বিল কুমারী বিলে আর পাওয়া যাচ্ছে না দেশিয় মাছ। চরম বিপাকে পড়ার পাশাপাশি মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিল কুমারী বিলের ধারের মৎস্যজীবী পরিবারগুলো।
মৎস্যজীবীরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর তানোর বিল কুমারী বিল এভাবে শুকিয়ে গেছে। অন্য বছরগুলোতে বিলের তলায় পানি থাকতো, সেই পানিতে দেশিয় প্রজাতির মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা হচ্ছিল।
গত ২০-২৫ দিন আগে বিলের তলার (গাং) এর পানি শুকিয়ে গেছে। তারা বলছেন, সরকারিভাবে বিলের তলায় অভয় আশ্রম তৈরি করা হয়েছিলো, এ বছর সেটিও শুকিয়ে গেছে।
সরেজমিনে গতকাল শুক্রবার বিকালে তানোর বিল কুমারী বিলে গিয়ে দেখা, শীবনদীর শাখা বিল কুমারী বিলের গাং পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে। দেশিয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় তৈরি করা অভয় আশ্রমেও পানি নেই।
আলকা পানি ও কাদা ছাড়া কিছুই নেই। মৎস্যজীবী ও সচেতন মহল বলছেন, দীর্ঘদিন খনন না করায় শীব নদীর শাখা বিল কুমারী বিলে পলি পড়ে ভরে গেছে। ফলে, খরার সময় শুকিয়ে যায় বিল এবং বর্ষার সময় বন্যার সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অন্য বছরগুলোতে বিলের তলায় পানি থাকলেও এ বছর একদম শুকিয়ে গেছে। শিব নদীর শাখা মান্দা হয়ে তানোর বিল কুমারী বিল হয়ে চলে গেছে নওহাটা ব্রিজের নিচে দিয়ে বহুদূর। বরুজ ব্রিজের নিচে গাং, কামারগাঁ ব্রিজের গাং শুকিয়ে গেছে।
অপরদিকে তানোর উপজেলা প্রায় সবগুলো খাল (খাড়ি) ও বেশির ভাগ পুকুরই শুকিয়ে গেছে। এলাকাবাসী বলছেন, অন্য বছরগুলোতে এই সময় পুকুর ও খালসহ বিলে কিছুটা হলেও পানি থাকতো কিন্তু এবছর বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এবং প্রচণ্ড রোদ ও খরার কারণে শুকিয়ে গেছে পুকুর, খাল (খাড়ি) ও বিল কুমারী বিল।
গাংগারামপুর হয়ে বোন কেশর কয়েল হয়ে লবাতলা ব্রিজের নিচ দিয়ে বিল কুমারী বিলে এসে শেষ হয়েছে। যা বর্তমানে শুকিয়ে গেছে। তাতিহাটি লবলবি হয়ে আকচা হয়ে আসা খালও শুকিয়ে গেছে। তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খালগুলোর কোনটাতেই পানি নেই।
এলাকাবাসী বলছেন, দীর্ঘদিন ভারি বৃষ্টি না হওয়ার কারণে খাল গুলোতে পানি নেই। এলাকাবাসী বলছেন, পানির অপব্যবহারের কারণে পানির স্তুর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে তানোর উপজেলার খাল (খাড়ি) গুলো দীর্ঘদিন খনন সংস্কার না করায় গভীরতা কমে গেছে। ফলে, খরার সময় শুকিয়ে যায়।
সচেতন মহল বলছেন, খাল (খাড়ি) ও বিল কুমারী বিল খনন সংস্কার করা জরুরি।