ঢাকা | মে ৪, ২০২৫ - ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

নওগাঁর ছোট যমুনা নদীতে মুগ্ধতা ছরাচ্ছে কচুরিপানার ফুল

  • আপডেট: Friday, May 2, 2025 - 11:20 pm

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি জলজ উদ্ভিদের নাম কচুরিপানা। নওগাঁর রাণীনগরে নগর ব্রীজ এলাকায় ছোট যমুনা নদীর বুকে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এই কচুরিপানার ফুল।

স্থানীয় কয়েকটি ইট ভাটার মালিকরা ইট বোঝায় ভ্যানগাড়ি পারাপার করতে নদীতে বাঁশের সাঁকো দেওয়ার কারণে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হতে না পারায় নদীর মধ্যে দুই সাঁকোর বাঁধার কারণে নগর ব্রীজ এলাকায় প্রচুর পরিমাণ কচুরিপানা জড়ো হয়েছে।

সেখানে মূলত বেশ কিছুদিন ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে কচুরিপানার ফুলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। প্রতিদিন বিকেলে নগর ব্রীজসহ আশপাশ এলাকায় দর্শনার্থরা বেড়াতে এসে যে যার মতো নদীর পাশে গিয়ে কচুরিপানার ফুলের সাথে ছবি তুলে ক্যামেরা বন্দী করছে অনেকেই।

রাণীনগর উপজেলা প্রকৃতগত ভাবে নদী নালা-খাল-বিল বেষ্টিত এই উপজেলার বুক চিড়ে বয়ে গেছে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী। এই নদীর পানি দিয়ে কয়েক হাজার বিঘা ইরি-বোরো ধান চাষ হয়। নদীর নব্যতা সংকটের কারণে কিছু কিছু জায়গায় নদীর চর জাগলেও বিশেষ জায়গায় পানি থাকায় জমাট বেধেছে কচুরিপানা।

শস্য-শ্যামল সবুজে ভরা নদী নালা খাল বিলে বাড়ির পাশের ডোবায় ছোট বড় পুকুরেও দেখতে পাওয়া যায় দৃষ্টিনন্দন কচুরিপানা ফুল। এটি একটি বহু-বর্ষজীবী ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। আমাদের দেশে ঋতুর পরিবর্তনের সাথে সাথে নানা জাতের ফুল ফোটে। দেশে প্রায় সাত প্রজাতির কচুরিপানা দেখা যায়।

কচুরিপানা দেখতে গাঢ় সবুজ হলেও এর ফুলগুলো সাদা পাপড়ির মধ্যে বেগুনি ছোপযুক্ত এবং মাঝখানে হলুদ ফোঁটা থাকে। সাদা পাপড়ির স্থলে কোথাও হালকা আকাশি পাপড়িও দেখতে পাওয়া যায়। প্রায় সারা বছরই কচুরি ফুল ফুটতে দেখা যায়।

কচুরি ফুলের মুগ্ধতায় আমাদের মধ্যে প্রকৃতি প্রেম জাগ্রত করে। রাণীনগর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, কচুরিপানা কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিক ভাবে এসব কচুরিপানা সংরক্ষণ করা হলে জৈব সার তৈরি করা যায়। এতে কৃষকরা জমিতে ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিক ভাবেও লাভবান হতে পারেন।

তবে বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এর গুরুত্ব কিছুটা কমতে বসেছে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS